• দানার সুযোগ নিয়ে ‘বর্ডার থেকে যেন দুষ্টু লোকের আমদানি না হয়', সতর্ক করলেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • দুর্গাপুজো মিটতেই কালীপুজোর আগের সপ্তাহে আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন দানা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝড়ের ল্যান্ডফল হয়। এদিকে, গোটা রাত নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর শুক্রবার দুপুরে তিনি একটি সাংবাদিকদের সামনেই রাজ্যের 'দানা' বিপর্যয় পরিস্থিতির খোঁজ নেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করেন।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দানা' দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে অনেকের সীমান্ত পার করে রাজ্যে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে, তা রুখে দিতে হবে প্রশাসনকে। একাধিক বিষয় নিয়ে তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক বার্তা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘এই সুযোগে যাতে বর্ডার থেকে কোনও দুষ্টু লোকের আমদানি না হয়, সেটাও পুলিশকে কেয়ার নিতে হবে। এরা কিন্তু সুযোগ নেয় এসবের।’ মমতা বলেন,‘কালীপুজোকেও যেমন টেক কেয়ার করতে হবে, ছট পুজোকেও টেক কেয়ার করতে হবে।… নজর রাখবে যাতে ওর মধ্যে কেউ দুষ্টুমি করতে না পারে।’ তিনি বলেন,'পুলিশ, ইন্টালিজেন্স আরও শক্তিশালী করতে হবে। এসটিএফকে কাজে লাগাতে হবে। কোনও রকমের সুযোগ যাতে কেউ না নিতে পারে। কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যাতে না হয়। একটা প্ল্যানিং চলছে, এটাকে ভেস্তে দিতে হবে।' তিনি বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় হুগলি ও নদিয়া জেলাতেও প্রশাসনকে সজাগ থাকার বার্তা দেন। ছট পুজো উপলক্ষ্যে তিনি ঘাটগুলো পরিষ্কার রাখতে নির্দেশ দেন।

    মমতা বারবারই উল্লেখ করেছেন যে রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে যেন নজরদারি রাখা হয়। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে এদিন তিনি প্রশাসনকে ফের সতর্ক করেছেন। সদ্য দুর্গাপুজোর সময় হাওড়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বলে খবর মেলে। 

    সাপ ও গাছ নিয়ে কী বললেন দিদি?

    এদিনের বৈঠকে তিনি, দানা সাইক্লোনের ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করেন। সেক্ষেত্রে গাছ পড়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন,' কিছু গাছ পড়ে গিয়েছে। যে গাছ পড়ে গিয়েছে, সেগুলো তুলে লাগানোর সিস্টেম আছে। আমি নিজের বাড়িতে দেখেছিলাম এক সময় দু তিনটে গাছ পড়ে গিয়েছিল। আমি নিজে সেগুলো লাগিয়ে দিয়েছিলাম.. বড় বড় গাছ। কিন্তু সেগুলো এখন খুব ভালো আছে। পাঁচ ছ'বছর হয়ে গেল, গাছ পড়ে গেলে তা লাগিয়ে দিলে অনেক সময় হয়ে যায়।  '

    মমতা বলেন, ‘সাপের ওষুধ যেন প্রত্যেকটা জায়গায় থাকে। অ্যান্টিভেনাম ইঞ্জেকশন যাতে পাওয়া যায়। যাতে কেউ মারা না যায় সাপের কামড়ে, শুধু সাগর আর জলপাইগুড়িতে একটা সাপ আছে। কালাচ সাপ আছে, সেটা ছোবল মারলেই এক সেকেন্ডে শেষ হয়ে যায়। ট্রিটমেন্টের সুযোগ পায়না।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)