২০১৭ এবং ২০২২ সালের প্রাথমিকে টেটের প্রশ্ন ভুল নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। মূল মামলাকারীদের বক্তব্য, ২০১৭ সালের টেটে ২৩টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। আর ২৪টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে ২০২২ সালের টেটে। ওই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, প্রথম টেটের প্রশ্ন খতিয়ে দেখবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি খতিয়ে দেখবে পরের টেটের প্রশ্ন। একক বেঞ্চের ওই নির্দেশ হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পরিবর্তন হয়।
গত ২৩ অগস্ট বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দু'টি টেটের প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গঠিত হবে ওই কমিটি। কমিটিতে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ রাখা হবে। কতগুলি প্রশ্ন ভুল রয়েছে তা নিয়ে তাঁরা বিবেচনা করবেন।
হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান নুরজিনা খাতুন-সহ প্রাথমিকের ২০২২ টেটের কয়েক জন পরীক্ষার্থী। শীর্ষ আদালতে তাঁদের আবেদন, বাকি দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু ওই কমিটি থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দেওয়া হোক। শুক্রবার ওই মামলাটিরই শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত জানায়, হাই কোর্টের রায়ই বহাল থাকবে। ওই রায়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না। এই মামলা প্রত্যাহার না করলে খারিজ করা হবে। এর পরেই মামলাকারী সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অন্য দিকে, ওই একই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টে ২০০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী মামলা করেছেন। শুক্রবার ওই মামলাগুলিও নিষ্পত্তি করে দেয় আদালত।