• হাতে না মেরে ভাতে মারা! দানার বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা ফসল শেষ
    এই সময় | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঝমঝম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। হাওড়া সদর ও হাওড়া গ্রামীণের সার্বিক চিত্রটা মোটের উপর একই। সদর এলাকাগুলিতে যখন পথঘাট জলের তলায়, গ্রামীণে তখন চাষিদের সর্বস্বান্ত হওয়ার পরিস্থিতি। ভেসে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি।গ্রামীণ এলাকায় চাষবাসের প্রভুত ক্ষতি হয়েছে। পুজোর মুখে বন্যার জলে চাষের জমি শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার শীতকালীন সবজি চাষেও কাঁটা। বাগনান, দেউলটি এলাকায় একচেটিয়া ফুলের চাষ হয়। তাও শেষ বলে জানাচ্ছেন ফুলচাষিরা। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর এবার কালীপুজোতেও ফুলের আকাল দেখা দেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই দুর্যোগে ফুল, শীতকালীন সবজি চাষ কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। উদয়নারায়ণপুরের আলু বিখ্যাত। কিন্তু এই বৃষ্টিতে যেভাবে মাটি ভিজে আছে, তাতে আলু বসানোই সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। দানা তার ঝড়ের দাপট এ রাজ্যে দেখায়নি ঠিকই। কিন্তু হাতে না মারলেও, ভাতে মেরে দিয়েছে।

    অন্যদিকে হাওড়া সদরের পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, রামচরণ শেঠ রোড, ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলের তলায়। শুক্রবার সকাল থেকে যদিও রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা কম। যাঁরা বেরিয়েছেন, জলযন্ত্রণার শিকার। এদিন রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যাও কম।

    হাওড়া পুরনিগমে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য যে কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে, তা দিনরাত খোলা। জমা জল কিংবা অন্য কোনও দুর্যোগসংক্রান্ত সমস্যা হলে এখানেই ফোন করছেন শহরবাসী। কন্ট্রোলরুম থেকে এলাকা অনুযায়ী দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় কর্মীদের কাছে খবর পাঠানো হচ্ছে। হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানান, জল নিকাশে ৭০টি পাম্প চালানো হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি ধরলে জল নামতে বিশেষ সময় লাগবে না বলেও মনে করছেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)