দানার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে সবজি চাষিরা। কালীপুজোর আগেই হয়ত হুহু করে বাড়তে পারে সবজির দাম। একই অবস্থা ফুল চাষিদেরও। ফুলের বাজারে ঢুকেও খেতে হতে পারে ছ্যাঁকা।হুগলির আরামবাগ মহকুমার অবস্থা খুবই শোচনীয়। দুর্গাপুজোর আগে ভারী বৃষ্টিতে বেশির ভাগ ধান জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সবজি ক্ষেতও জলের তলায় ডুবেছিল। পরিস্থিতি কোনোমতে সামাল দেওয়ার আগেই আবারও দুর্যোগ। একেবারে বেসামাল করে দিয়েছে কৃষকদের।
যেটুকু ধান ছিল জমিতে, তাও একেবারেই শেষ। সবজির ক্ষেত যেন ডোবা হয়ে গিয়েছে। আরামবাগের খানাকুল, পুড়শুড়া, তারকেশ্বর এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত। এমন বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়া, ধান গাছগুলি শুয়ে পড়েছে জমিতে। অথচ আরেকটু সময় পেলেই ফসল কাটা হয়ে যেত।
সবজি ক্ষেতেও একই ছবি। বেগুন, কাঁচা লঙ্কা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঝিঙে, পটলের জমি জলের নিচে। বৃষ্টি থামা এবং জল নামার মাঝের যে সময়, তার মধ্যেই সবজি একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা চাষিদের।
তারকেশ্বরের কৃষক প্রশান্ত বাগ, স্বপন প্রামাণিকরা জানান, জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে জমিতে। তাঁদের প্রায় ৩ বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা কৃষি অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মারদানা জানিয়েছেন, হুগলি জেলায় এ বছর খরিফ মরসুমে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। দানার প্রভাবে বৃষ্টি এখনও চলছে। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব না। খতিয়ে দেখে বলতে হবে।
কৃষকরা যাতে কোনও ভাবেই ক্ষতির মুখে না পড়েন, তা দেখা হবে বলে শুক্রবারই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে তিনি ঘোষণা করেছেন, বাংলা শস্য বিমা যোজনায় ৩১ অক্টোবরের বদলে ৩১ নভেম্বর অবধি নাম তোলা যাবে। দানার প্রভাবে বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও এই বিমার আওতায় আসবেন। ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে শুরু হবে খতিয়ে দেখার কাজ। জেলার কৃষি আধিকারিকরা তা দেখবেন।