গত মঙ্গলবার বিকেলে ভাতার বাজারে হাউসিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হয়।এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দলীয় সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। দলীয় কর্মী সমর্থকরা অনুষ্ঠানস্থলে যাবার সময় বর্ধমান কাটোয়া রাজ্যসড়কে নাসিগ্রাম মোড়ের কাছে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভাতার ব্লক তৃণমূলের সহসভাপতি ভাতার অঞ্চল এলাকার বেশকয়েক জন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে সভাস্থলের দিকে যখন যাছিলেন তখন ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী খবর পেয়ে নাসিগ্রাম মোড়ে গেলে অশোক হাজরা ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বিধায়কের বচসা শুরু হয়। পরে দলীয় কর্মীরাই বিধায়ককে সরিয়ে নিয়ে যান। এরপর দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরা ও তাঁর অনুগামীরা মঞ্চের কাছে যখন পৌছান তখনও একপ্রস্থ উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়া সম্মিলনীর পর্ব শেষ করা হয়। ওদিনের ঘটনার পর থেকেই অশোক হাজরার সঙ্গে বিধায়ক সহ দলের ব্লক নেতৃত্বের ভিতরে ভিতরে চাপানউতোর চলে আসছে।
ডানার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যেই অশোক হাজরা, ভাতার পঞ্চায়েতের প্রধান রূপালী ঘোষ, ভাতার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ চক্রবর্তী সহ কয়েক জন মহিলা ও পুরুষ মিলে থানায় যান। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে অশোকবাবুরা বেড়িয়ে যান। ভাতার পঞ্চায়েতের প্রধান রূপালী ঘোষের অভিযোগ," আমাদের এলাকায় কিছু মানুষের প্রয়োচনায় এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতে মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। মহিলারও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেজন্য পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ বিচার চাইতে এসেছি।" তবে কোনও দলীয় পতাকা অশোকবাবুদের সঙ্গে ছিল না।
ভাতার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন," বৃহস্পতিবার রাতে ভাতার থানার পুলিশের একটি বাহিনী বামশোর গ্রামে তিনটি বাড়িতে হঠাৎ গিয়েছিল। সেজন্য ওই গ্রামের মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাতে গ্রামে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছিল। তাই আমরা পুলিশের কাছে জানতে এসেছিলাম ঠিক কী জন্য ওই তিনটি বাড়িতে পুলিশবাহিনী গিয়েছিল। পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে।" দলেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার যে অভিযোগ তুলছেন সেবিষয়ে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন," আমি যতটুকু জানি ভাতার বাজার সহ অঞ্চল এলাকায় ২০২১ সাল থেকে এযাবৎ একদিনের জন্যও কোনও অশান্তি হয়নি। বিজয়া সম্মিলনীর দিন যে অশান্তি হয়েছিল সেটা কে বা কারা করেছিল এলাকার মানুষ জানেন। দলীয় প্রধান আমার কাছে ওই ধরনের কোনও অভিযোগ জানাননি।" যদিও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি অশোক হাজরা কোন মন্তব্য করেননি।