ডানার হানা: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর
প্রতিদিন | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার মাঝামাঝি এলাকায় শুরু হয় ঘূর্ণিঝড় ডানার ল্যান্ডফল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শেষ হয় প্রক্রিয়া। নজরদারিতে রাতভর নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডানার দাপটে রাত থেকেই বাংলা ও ওড়িশা জুড়ে চলছে প্রবল বৃষ্টি। একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। ডানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
বিকেল ৪.৩৪: ‘ডানা’র নজরদারিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টার বেশি নবান্নে কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরিয়ে যান তিনি।
বিকেল ৩.৫৫: জল থইথই লেক গার্ডেন্স থেকে সল্টলেক।
দুপুর ২.৩২: বৃষ্টিভেজা কলকাতার পথঘাট একেবারে ফাঁকা। কার্যত ফিরে এসেছে লকডাউনের ছবি।
দুপুর ২.১১: জলমগ্ন এসএসকেএম, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। প্রবল সমস্যায় রোগীরা।
দুপুর ১.৫০: সাউথ সিটির সামনে ভেঙে পড়ল গাছ। বন্ধ যান চলাচল।
দুপুর ১.৩০: টেরিটি বাজারের আগুন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের রীতিমতো কড়া বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, “ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগছে। প্রবল সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হয়তো নিজেরা ব্যবস্থা নিন, অন্যথায় আমাদের পদক্ষেপ করতে দিন। নাহলে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।”
দুপুর ১.২৯: কালিপুজোয় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখার নির্দেশ মমতার। আইবি, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সতর্ক করলেন তিনি।
দুপুর ১.২৭: যাদের ত্রাণশিবিরে আনা হয়েছে, দুর্যোগ না মিটলে তাঁদের বাড়ি না ফেরানোর নির্দেশ মমতার। যাদের বাড়ি ভেঙেছে, আপাতত তাঁদের ত্রাণ শিবিরেই রাখতে হবে। ত্রিপল, খাবার, জল, বই-খাতা, জামা-কাপড়ের যাতে সমস্যা না হয় তা দেখার নির্দেশ। চাষিদের দিকে নজরদানের নির্দেশ।
দুপুর ১.২০: দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে একজনের। কেবলের কাজ করছিলেন তিনি। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের পরিস্থিতি কী? তা জানতে চাইলেন তিনি।
দুপুর ১.১৭: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু হয়েছে। ৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেককে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
দুপুর ১.১২: ডেঙ্গু যাতে না বাড়তে পারে, সেদিকে নজরদারির পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। টেলি মেডিসিন পরিষেবা কাজে লাগানোর নির্দেশ। জ্বর, ডায়রিয়ার ওষুধ ও অ্যান্টি ভেনাম মজুত রাখার কথা বলেন।
দুপুর ১.১১: ঝড়ে বিপর্যস্তদের যাতে কোনও প্রকার সমস্যা না হয় তা খতিয়ে দেখতে ডিএম-এসপিদের একাধিক নির্দেশ। রিলিফ ক্যাম্পগুলোতে যাতে কারও সমস্যা না হয়। সেদিকে নজর দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মেডিক্যাল ক্যাম্প করার কথা বললেন তিনি। যে গাছ ঝড়ে পড়ে গিয়েছে, সেগুলো পুনরায় লাগানোর পরামর্শ দিলেন তিনি।
দুপুর ১.০৬: উত্তর ২৪ পরগনার গোসাবা, বনগাঁ, বসিরহাটে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এখনও অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়ায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন মমতা। বাঁকুড়ায় ২৭ টা কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে, জানালেন জেলাশাসক। তবে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের, এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
দুপুর ১২.৫১: রাতভর জেগে কাজ করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, সাগরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুনেছেন, কপিল মুনির আশ্রমের সামনে জল জমেছিল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কুলতলি, মোহনপুর-সহ একাধিক এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
দুপুর ১২.৫১: কলকাতার মধ্যে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যোধপুর পার্কে। পরিসংখ্যান বলছে, বৃষ্টির পরিমাণ ১১১ মিলিমিটার।
দুপুর ১২.৪৬: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় চলছে তুমুল বৃষ্টি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া।
দুপুর ১২. ৩১: ৭ জেলার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা ১ টায় ঝড় প্রভাবিত জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন তিনি।
দুপুর ১২. ০১: শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। তবে তার দাপটে লন্ডভন্ড উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। দুপুরে এবিষয়ে সাংবাদিক বৈঠ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১০.৩০: রাত পেরিয়েছে। সকালেও নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ডানা পরিস্থিতিতে নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে ট্রেন পরিষেবা।