• অ্যান্টি সাইক্লোনিক এফেক্টে তাপমাত্রা নামল দার্জিলিংয়েও
    এই সময় | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সঞ্জয় চক্রবর্তী

    এই সময়, শিলিগুড়ি: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়ও। থেকে থেকেই হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। রয়েছে কুয়াশাও। তাপমাত্রা এতটাই নীচে নেমে গিয়েছে যে, রাস্তায় তো বটেই, ঘরেও গরম পোশাক পরে বসে থাকতে হচ্ছে।

    শুধু পাহাড়ই নয়, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারেও হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের যুক্তি, ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগে প্রবেশের পরেই একটি অ্যান্টি সাইক্লোনিক এফেক্ট তৈরি হয়েছে। তারই জেরে প্রচুর মেঘ ঢুকে যায় উত্তরবঙ্গে। তাই এই হালকা বৃষ্টি, কুয়াশা এবং তাপমাত্রা নেমে যাওয়া। শনিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই ঘূর্ণিঝড় দানা প্রবেশ করে স্থলভাগে। ঝড়ের গতি উত্তর-পশ্চিম দিকে থাকলেও উত্তরের আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে আচমকাই নেমে যায় তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সেই তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা ছিল ১৭.৩। আর শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়ায় ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এ দিন সকাল থেকেই দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিকে দিনভরই হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়িতেও। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা গরম পোশাক পরেই ম্যালে আসতে বাধ্য হন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের গ্যাংটক শাখার আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘এটা দানার অ্যান্টি সাইক্লোনিক এফেক্ট। এই ধরনের ঝড় যখন স্থলভাগে প্রবেশ করে তখন মেঘের একাংশ সাইক্লোনের বিপরীত দিকে ছিটকে সরে যায়। এই কারণেই উত্তরবঙ্গে এত মেঘ জমেছে। তবে হালকা বৃষ্টিই হবে। শনিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে।’

    এ বার উত্তরবঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে অক্টোবর থেকেই শীত নামবে বলে অনুমান ছিল আবহবিদদের। দুর্গাপুজোতেও ঠান্ডা আবহাওয়াই ছিল দার্জিলিংয়ে। কিন্তু শুক্রবার সকালে একেবারে কনকনে ঠান্ডা পড়ে যায়। রবিবার থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে বলে অনুমান আবহবিদদের। তবে বৃষ্টির হাত থেকে এখনও রেহাই নেই উত্তরবঙ্গের। কেননা, ফের একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের আকাশে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে কালীপুজোয় এ বার বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।

    কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের গ্যাংটক শাখার আধিকারিক বলেন, ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই কালীপুজোয় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে গেলে ফের স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।’
  • Link to this news (এই সময়)