আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভেঙে পড়ল কাঁচা বাড়ি। ভাঙল ইলেকট্রিক পোল। ঘূর্ণিঝড় ডানা'র দাপটে পূর্ব মেদিনীপুর ও সুন্দরবন এলাকায় ক্ষতির মুখোমুখি হল প্রায় ৬০০টি কাঁচা বাড়ি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। যদিও যে পরিমাণ হাওয়ার দাপট ছিল তাতে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতে পারত।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, তাঁর জেলায় ৩০০-র কাছাকাছি কাঁচা বাড়ি এবং প্রায় ২০০-র কাছাকাছি ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙেছে। ভেঙে পড়েছে ২৫০-র কাছাকাছি গাছ। তিনি জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার রাতেই বিভিন্ন রেসকিউ সেন্টারে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সকালে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
তবে ঘূর্ণিঝড় ডানা'র (cyclone Dana) ঝাপটায় ক্ষতি হয়েছে সমুদ্র এলাকায় বাঁধের। দু'একটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই জায়গায় মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। রাতে হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। তবে সবকিছু মিলিয়ে জেলায় বড় ক্ষতির ছবিটা নেই বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক। বেলা গড়ালে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক।
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণা জেলাতেও ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, 'সকাল ন'টা পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এই জেলায় ২০৭টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মূলত সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর এলাকা, হিঙ্গলগঞ্জ ও নদী তীরবর্তী এলাকায়।' বৃহস্পতিবার রাতে নদীর ধারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রবল হাওয়ার মাঝেই লঞ্চ নিয়ে নদীপথে রওনা দেন নারায়ণ। আশেপাশের এলাকাগুলি দেখে সেই অনুযায়ী নির্দেশ দেন তিনি।
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন তাদের প্রাথমিক যে রিপোর্টে নবান্নে পাঠিয়েছে তাতে তারা জানিয়েছে, জেলায় ৫০টির থেকেও বেশি ইলেক্ট্রিক পোল ভেঙে পড়েছে। সুন্দরবন এলাকায় দুটি বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেচ দপ্তরের তরফে সেগুলি মেরামত করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে জেলাজুড়ে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ৩০০টির বেশি কাঁচা বাড়ি। ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।