গভীর রাতে দুয়ারে মহকুমাশাসক, ‘ডানা’ মোকাবিলায় জেগে প্রশাসন
আজকাল | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোনও অবস্থাতেই মানুষের ক্ষতি যেনও না হয়। এই লক্ষ নিয়েই ডানা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছিল জেল প্রশাসন। কোনও অবহেলা নয়। কাজ চলেছে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা। আগে অভিযোগ ছিল, এর আগেও নাকি অনেক দুর্যোগ গেছে। কেউ কখনও খোঁজ নেয়নি। দুয়ারে প্রশাসন এর আগে কখনও আসেনি! এবারে ডানার দুর্যোগ সেই অভিযোগ দূর করল। গভীর রাতে পুরপ্রধানকে সঙ্গে নিয়ে খোদ মহকুমা শাসক পৌঁছে গিয়েছিলেন বাড়ি বাড়ি। দুর্যোগ আসার আগেই সতর্ক করেছিলেন সকলকে। বুঝিয়েছিলেন কী করণীয় আর কী নয়। একইসঙ্গে দুর্বল বাড়ির বাসিন্দাদের সরানোর ব্যবস্থাও করেন। বৃষ্টির দুর্যোগ চললেও শেষপর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা লাগেনি জেলা সদরে। তবে প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি বাসিন্দারা। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড ইমামবাড়া এলাকায় বহু মানুষের বাসস্থানে টালির চাল। অনেকেই আবার ত্রিপল ছাওয়া ঘরেও বাস করেন। অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাকা বাড়িতেও থাকেন অনেকেই। তাদের বাড়িতেই দুর্যোগের রাতে পৌঁছে যান সদর মহকুমাশাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। সঙ্গে ছিলেন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়। ছিলেন কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস, সুপর্না সেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিষ সেন প্রমুখ। মহকুমাশাসক ইমামবাড়া হাভেলি, মাঠবস্তির প্রত্যেকটা বাড়িতে ঢুকে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অসুবিধের কথা শোনেন। বাসিন্দাদের বলেন, ঝড় আসার আগেই স্থানীয় স্কুল বা ইমামবাড়ায় উঠে যেতে। তাদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ বেশি রাতে ঝড় উঠলে তখন ঘর ছেড়ে বেরোনো সমস্যা হয়ে যাবে। দুর্যোগ থেমে গেলে তারা আবার বাড়ি ফিরে আসবেন। মহকুমাশাসকের কথা অনুযায়ী, বাসিন্দাদের অনেকেই স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নেন। সেখানেই তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রসঙ্গে ইমামবাড়া সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে অনেক দুর্যোগ গিয়েছে। ঝড়, বৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনের কোনও আধিকারিক তাদের খোঁজ নিতে আসেননি। ঘরের চাল উড়ে গেলে বড়জোর পুরসভা থেকে ত্রিপল পেয়েছেন তারা। ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড়ে তাদের দুয়ারে প্রশাসন এসে হাজির হয়েছে। প্রশাসন বাস্তবেই তাঁদের পাশে রয়েছে, এটা উপলব্ধি করে খুশি বাসিন্দারা।