• পশ্চিম মেদিনীপুরে ডানার ক্ষয়ক্ষতি ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বেলদা: ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ওড়িশা লাগোয়া পাঁচটি ব্লকে ক্ষয়ক্ষতি ঘুরে দেখলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে পরিদর্শন সেরে ফেরার পথে তিনি দাঁতন ১ ও ২, নারায়ণগড় ও কেশিয়াড়িতে যান। এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রশাসনের কাছ থেকে লিখে নেন। মানসবাবুর সঙ্গে মহকুমা শাসক পাতিল যোগেশ অশোক রাও, বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, সূর্যকান্ত অট্ট, পরেশচন্দ্র মুর্মু প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যাতে প্রাণহানি না হয়, তার জন্য প্রশাসন আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। পাঁচটি ব্লকে প্রায় ৫০হাজার মানুষকে আগেই বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমতেই ত্রাণ শিবির থেকে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। তবে আগামী কয়েকদিন ধরে এসব ত্রাণ শিবির চলবে। মোহনপুর, দাঁতন ১ ও ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। সেসব খুঁটি সারানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানসবাবু বলেন, ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি নিজে পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা লাগোয়া বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করেছি। সরাসরি ঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়লেও অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সমস্ত ব্লকের কৃষিবিভাগকে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে বলেছি। সবং ও পিংলা ব্লকে রেকর্ড বৃষ্টি হওয়ায় কেলেঘাই ও কপালেশ্বরী নদীর জল বেড়েছে। সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)