সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: দু’দিনের মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সংখ্যা বাড়িয়ে পুনরায় বাঁকুড়ায় ঢুকল দলমার দাঁতালরা। দুর্যোগের মাঝে তাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বনকর্মীরা। হাতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন বাঁকাদহ, বিষ্ণুপুর ও জয়পুর রেঞ্জ এলাকার জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দারা। বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ২০টি হাতির একটি দল দু’টি দলে ভাগ হয়ে এজেলায় ঢোকে। দু’টি দল বিষ্ণুপুর, বাঁকাদহ ও জয়পুর রেঞ্জ এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। তার মধ্যে ১২টি হাতির দলটি হুলাপার্টি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চলে যায়। বৃহস্পতিবার ওই জেলায় থাকা আরও ১২টি হাতিকে সঙ্গে নিয়ে মোট ২৪টি হাতি বাঁকুড়া জেলার সীমানায় অপেক্ষা করে। দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে তারা একসঙ্গে এই জেলায় ঢুকে পড়ে। শুক্রবার ওই দলটি বাঁকাদহ রেঞ্জের আস্থাশোলের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। এছাড়াও আগে থেকে যাওয়া আটটি হাতি এদিন জয়পুরের কুচিয়াকোল এলাকার ব্যানাচাপড়ার জঙ্গলে রয়েছে। বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনের এডিএফও বীরেনকুমার শর্মা বলেন, হাতিদের গতিপথে বাধা পেয়ে কিছু হাতি পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিগুণ সংখ্যক হাতি ফিরে এসেছে। দুর্যোগের মাঝেও বনকর্মীরা তাদের উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলমার বুনো হাতিরা তাদের নির্দিষ্ট করিডোর দিয়ে গত প্রায় ২৫বছর ধরে বাঁকুড়া জেলায় যাতায়াত করে। হাতিরা এমন একটি করিডোর বেছে নিয়েছে, যার মাঝে রয়েছে বিক্ষিপ্ত কিছু লোকালয়। বাকি অন্তত ১০০কিলোমিটার জুড়ে জঙ্গল রয়েছে। সেজন্য নালা কাটা থেকে বৈদ্যুতিক তার বসানো সহ নানাভাবে চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট ওই করিডোরে হাতিদের যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।