সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: এবার গঙ্গার বুক দিয়ে মেট্রোতে করে প্রতিমা দর্শন ময়নাগুড়িতে! সেখানে রয়েছে প্ল্যাটফর্মও। সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে চেপে জলে ভাসমান অবস্থায় প্রতিমার দর্শন করা যাবে। মেট্রোতে রয়েছে বাতানুকূল পরিবেশ। ২৮টি এসি থাকছে কামরায়। এমনই বিগ বাজেটের কালীপুজো মণ্ডপ ময়নাগুড়িবাসীকে উপহার দিতে চলেছে জাগরণী ক্লাব।
ময়নাগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরেরর মিলপাড়ায় ক্লাবের নিজস্ব জমিতে পুজো মণ্ডপ তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। মেট্রোর সিটে বসার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কামরার ঝুলে থাকা হাতল ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। এখানে এলে দর্শনার্থীরা গঙ্গার মধ্য দিয়ে মেট্রো ভ্রমণ অনুভব করতে পারবেন বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। জাগরণী ক্লাবের পুজোর থিম তৈরির কাজে ৭০ জন শিল্পী ছ’মাস ধরে কাজ করছেন। প্রত্যেক বছরই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য বিগ বাজেটের কালীপুজোগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজো করে ময়নাগুড়ির জাগরণী ক্লাব। তাদের এই পুজোয় এবার ৫০ জনের উপর নিজস্ব ভলান্টিয়ার থাকছে। এবার এদের পুজো ৪৮ বছরে পড়ল।
গঙ্গার নীচ দিয়ে চলা মেট্রো, এই মণ্ডপ তৈরি করছেন কলকাতার শিল্পী সুবল পাল। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় থাকছেন চন্দননগরের শিল্পীরা। প্রতিমা নিয়ে আসা হচ্ছে কুমোরটুলি থেকে। আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। তাই রাত জেগে চলছে মণ্ডপের কাজ। এবছর জাগরণী ক্লাবের কালীপুজো কমিটির সভাপতি কমল দে, সম্পাদক রাজর্ষি বিশ্বাস ও অলিপ সাহা।
মণ্ডপ শিল্পীরা জানান, প্লাই, কাঠের বাটাম, ওয়ালপেপার, লোহা, বিভিন্ন ধরনের বোর্ড সহ নানান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে রঙের প্রচুর কাজ রয়েছে। মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীরা নিজেরাই জানালা দিয়ে দেখতে পাবেন যে তাঁরা গঙ্গার নীচ দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ট্রেনের আওয়াজ থেকে শুরু করে নদীর জলের আওয়াজ সমস্ত কিছুই দর্শনার্থীরা বুঝতে পারবেন। সেই সঙ্গে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
স্থানীয় কাউন্সিলার পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তুহিন চৌধুরী বলেন, এমন মণ্ডপ উত্তরবঙ্গে প্রথম। প্রতিবছরই উত্তরবঙ্গের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে দর্শনার্থী এখানে আসেন। আশা করছি, এবার রেকর্ড ভিড় হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সমস্তরকম ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। সম্পাদক রাজর্ষি বিশ্বাস বলেন, এখানে এলে দর্শনার্থীরা এক আলাদা অনুভূতি পাবেন। আমরা নিজস্ব কিছু স্বেচ্ছাসেবক রাখছি। তাছাড়া পুলিস প্রশাসন তো আছেই।