• ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের মূল গেটে তালা, দীর্ঘক্ষণ আটকে বিচারক
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শুক্রবার জলপাইগুড়ি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে ঢুকতে গিয়ে আটকে পড়লেন বিচারক। আদালতে এসে তিনি দেখেন, ঢোকার মূল গেটে তালা মারা। ভিতরে একটি বাইক রাখা হয়েছে। বাইকের সামনে ‘পুলিস’ লেখা। এই অবস্থায় আলোড়ন ছড়ায় এলাকায়। কে আদালত চত্বরে ওই বাইক রেখে মূল গেটে তালা মেরে চলে গিয়েছে, তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। 

    ঘণ্টা খানেক রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে একসময় তিনি নিজেই চলে যান পুলিস সুপারের অফিসে। সেখানে লিখিত অভিযোগ করেন। কিছুক্ষণ পর আসে পুলিস। এরই মধ্যে অন্য গেট খুলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারককে ভিতরে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে আদালত চত্বরে রাখা বাইকের নম্বর ধরে মোটর ভেহিকেল বিভাগের পোর্টালে শুরু হয় মালিকের খোঁজ। দেখা যায়, বাইকটি সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই অনলাইনে। এতে আরও চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

    গোটা ঘটনায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে কাজ শুরু হতে দেরি হয়ে যায়। অবশেষে অন্য গেট দিয়ে ঢুকে পুলিস যখন বাইকটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই হাজির হন সেটির মালিক। সদানন্দ দাস নামে এক এনভিএফ কর্মী দাবি করেন বাইকটি তাঁর। পাশেই ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখার গোডাউনে বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটি ছিল তাঁর। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের মূল গেটে তালা দেওয়া ছিল না। সেই কারণে আদালত চত্বরে বাইক রেখে যাতে সেটি চুরি হয়ে না যায়, সেজন্য গেটে তালা মেরে দিয়েছিলেন তিনি। ঘুম থেকে উঠতে বেলা ১২টা বেজে যাওয়াতেই বিপত্তি। 

    বাইকের কাগজপত্র নিয়ে ওই এনভিএফ কর্মীর দাবি, এক মাছ বিক্রেতার কাছ থেকে বাইকটি কিনেছেন তিনি। বিক্রেতা তাঁকে কোনও কাগজপত্র দেননি এখনও। জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)