• কালীপুজোর আগে পাণ্ডুয়া হাটে কালো পাঁঠার চাহিদা তুঙ্গে, ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত দর উঠছে
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: হাতে মাত্র আর কয়েকদিন। তারপরই কালীপুজো। তার আগে শুক্রবার মালদহ জেলার গাজোল ব্লকের পাণ্ডুয়া হাটে পাঁঠা কেনাবেচায় ব্যাপক ভিড় হল। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার পর্যন্ত বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে থেকে পাঁঠা বিক্রি করেন। ক্রেতাদেরও ভালো সমাগম হয়েছে। সেখানে গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, ফরাক্কা থেকেও বিক্রেতারা পাঁঠা বিক্রি করতে চলে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম আব্দুল আরিফ। তাঁর বাড়ি ধুলিয়ানে। তিনি একাধিক পাঁঠা নিয়ে এসেছেন। এদিন হাটে একেকটি পাঁঠা বিক্রির জন্য দর ওঠে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা। কোনও পাঁঠার ওজন চল্লিশ কেজি, কোনওটার ৫০ বা ৬০।  ব্যবসায়ী আব্দুল বলেন, কালীপুজোর আগে প্রতিবছর পাণ্ডুয়া হাটে আসি। এবার ভালো বেচাকেনা চলছে। 

    খিদিরপুর থেকে এসেছেন বাসিদুর রহমান। তাঁর কথায়, আমার কাছে ৫০ কেজি ওজনের পাঁঠা রয়েছে। দাম ৭৫ হাজার টাকা রেখেছি। একজন ৪২ হাজার বলেছেন। দিইনি। আরও কিছুটা দাম পেলে বিক্রি করব। বাসিদুর এবার হাটে ছোট বড় মিলিয়ে ৬৪টি পাঁঠা নিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে ৫৫টি বিক্রি হয়েছে। বাকি গুলিও বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর।

    গাজোলের ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাণ্ডুয়াতে প্রতি সপ্তাহে শুক্র এবং সোমবার শুধুমাত্র ছাগলের হাট বসে। কালীপুজো উপলক্ষ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভালোই ভিড় হচ্ছে। হাট মালিকের পক্ষে বাপি আলি বলেন, এদিন সকালে হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। প্রথম দিকে কিছুটা অসুবিধা হলেও সারাদিনে ভালো বিক্রি হয়েছে। পুজোর আগে পাঁঠার চাহিদা বেশি। তাই সব ব্যবসায়ী পাঁঠাই নিয়ে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের আশা, আগামী সোমবার ভালো বিক্রি হবে। পুজোয় বলি দেওয়ার জন্য এদিন হাট থেকে দুটো পাঁঠা কেনেন পুরাতন মালদহের সাহাপুরের গণেশ সরকার। তিনি বলেন, দুটো পাঁঠা ৬০ হাজার টাকা চেয়েছিল। দরদাম করে ৪০ হাজারে কিনলাম।
  • Link to this news (বর্তমান)