ফের জুনিয়রদের চিঠি পন্থকে, ২ ডাক্তারের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত, সিবিআইকে চিঠির জবাব স্বাস্থ্যদপ্তরের
বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফরেন্সিক মেডিসিনের ডাক্তার দেবাশিস সোম ও সহযোগী অধ্যাপক সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সিবিআইয়ের চিঠির জবাবে জানাল স্বাস্থ্যদপ্তর। কয়েকদিন আগেই এটি পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর চিঠি দিয়ে এই দুই চিকিৎসকের দুর্নীতি যোগের কথা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। একইসঙ্গে আর জি করে ৯ আগস্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিতি নিয়ে চিকিৎসক অভীক দে’র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চাইছে সিবিআই। এই রিপোর্টে অভীক সম্পর্কে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো ভালো করে বিশ্লেষণ করছেন তদন্তকারীরা।
আর জি করে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নেমে দুর্নীতির টাকা কোথায় গিয়েছে তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সন্দীপ ও তাঁর সহযোগীদের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ টাকা আসার তথ্য পাচ্ছেন তাঁরা। সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু তারপর সেটি কোথায় গেল তার সন্ধান সিবিআই এখনও পায়নি।
সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে তারা সন্দেহের তালিকায় রাখলেও তাঁদের ব্যবসায় টাকা ঢুকেছে এমন কোনও প্রমাণ এখনও পাননি তদন্তকারীরা। সেই কারণে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সি এ) সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। ওইসঙ্গে তাঁর আর্থিক বিষয় যে বা যাঁরা দেখভাল করতেন, তাঁদের বিষয়েও তথ্য জোগাড় চলছে। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রাক্তন অধ্যক্ষ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর সিএ সন্দীপের বিষয়টি দেখভাল করতেন। ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা বেশকিছু কোম্পানির খোঁজ পেয়েছেন। সেগুলি খোলার পিছনে ওই সিএ’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে এজেন্সির দাবি। এই কোম্পানিগুলি যাঁদের নামে খোলা হয়, তাঁদের সঙ্গে সন্দীপ বা তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কী সম্পর্ক, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে শুক্রবার ফের জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ই-মেল পাঠিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য তাঁরা ৬টি বিষয় অবিলম্বে বাস্তবায়িত করার জন্য রাজ্যের কাছে পেশ করেছেন। সেগুলি হল—ডিজিটালাইজড বেড মনিটরিং সিস্টেম, দালাল চক্র ও দুনীর্তির অবসান এবং সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থার খামতিগুলি পূরণ করা। এছাড়া এই ব্যবস্থা রাজ্যজুড়ে কার্যকর করার ক্ষেত্রে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ, হাসপাতালের বেড বৃদ্ধি, রোগী ও বাড়ির লোকজনের সুবিধার জন্য বিভিন্ন পরিষেবার কথা পরিষ্কারভাবে হাসপাতালে লেখা থাকার বিষয়েও জোর দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। এগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য দ্রুত রাজ্য টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডাকার আর্জিও জানিয়েছে তারা।