• লাগাতার বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি শুক্রবার দিনভর বন্ধ ফেরি পরিষেবা
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় ডানা’র আশঙ্কায় দু’দিন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অধিকাংশ ফেরি পরিষেবা। যদিও ঝড় সেভাবে আসেনি। তবে বৃষ্টির কারণে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। সে কারণে পরিষেবা বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, সর্বত্র একই ছবি।

    শুক্রবার হুগলি জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল, এদিন মধ্যরাত পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রসঙ্গত, হুগলির সঙ্গে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়ার ফেরি যোগাযোগ রয়েছে। ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ ছিল। সেই সময়সীমাই বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার গাদিয়াড়া থেকে নুরপুর, গাদিয়াড়া- গেওখালি, ৫৮ গেট- বুরুল, কাঁটাখালি-বিড়লাপুর, উলুবেড়িয়া-আছিপুর, চেঙ্গাইল নেপালি ঘাট- পূজালি, বাউড়িয়া থানা ঘাট-বজবজ, বাউড়িয়া- বজবজ কালীবাড়ি ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবারও তা বন্ধ থাকে। এর ফলে গ্রামীণ হাওড়ায় ফুল ও সব্জি চাষের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার চার, ১১ এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রয়েছে। 

    এছাড়াও বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে হুগলি জেলার জলপথ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে শনিবার ফেরি চলবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার বিকেলে বন্ধ করা হয়েছিল বরানগরের কুঠিঘাট থেকে বেলুড় ফেরি চলাচল। কামারহাটি, পানিহাটি ও খড়দহের বিভিন্ন ফেরিঘাট থেকে হুগলির কোন্নগর, রিষড়ার ফেরি চলাচল করেনি। পরিষেবা শুক্রবারও বন্ধ ছিল। তবে সুন্দরবনের দুলদুলি ও লেবুখালি ফেরিঘাটে আংশিক পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    একটানা ভারী বৃষ্টিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ কল্যাণী ব্লকের সান্যাল চরের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। নতুন করে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। পাড়ের খুব কাছেই রয়েছে একাধিক বাড়ি ও চাষের জমি। এর আগেও ওই এলাকায় বহু জমি ও বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভাঙন শুরু হলে ফের ভিটেমাটি হারাতে হবে। এর পাশাপাশি বৃষ্টির প্রভাবে জলমগ্ন বসিরহাট। আশঙ্কা ও আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। কারণ হিঙ্গলগঞ্জের রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ডাসা, বেতনি সহ একাধিক নদী বাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে। যার ফলে বেড়েছে আশঙ্কা। বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিতে জমে রয়েছে জল। টাকি রেলগেট, কলেজ পাড়া, হাসনাবাদ বাজার সংলগ্ন এলাকা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমে রয়েছে। জল সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে টাকি পুরসভা। বারাসত মহকুমার অন্তর্গত শহরগুলিতে জল জমে। সবথেকে খারাপ অবস্থা গোবরডাঙার। যমুনা ও খালের জল উপচে সেখানকার ওয়ার্ডগুলিতে ঢুকছে। নিকাশির বেহাল দশার কারণে সমস্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ পুর নাগরিকদের।
  • Link to this news (বর্তমান)