নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: ঝড়ের প্রভাব না থাকলেও প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বহু জায়গা। বিশেষ করে বারাকপুর স্টেশন থেকে চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এস এন ব্যানার্জি রোডে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। যার ফলে জল-যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। যাঁরা বাধ্য হয়ে বারাকপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের ওই জল ভেঙেই যেতে হয়েছে।
বারাকপুর পুরসভার ৫, ৭, ৮, ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়েছে। বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। আনন্দপুরীর মতো জনবসতি অঞ্চলে থইথই জল। জলমগ্ন সেন্ট্রাল রোড। কল্যাণী এক্সপ্রেস উঁচু হওয়ায় ওই রাস্তায় জল না জমলেও আশপাশের এলাকা কার্যত ডুবে গিয়েছে। জল দাঁড়িয়েছে মোহনপুর এবং শিউলি এলাকাতেও।
একইভাবে নৈহাটি এবং ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সাহেব কলোনি মোড় থেকে নৈহাটি শহরে ঢোকার মুখে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। জল জমার কথা স্বীকার করে বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস জানান, ঘূর্ণিঝড়ে খুব বেশি সমস্যা হয়নি, তবে প্রবল বৃষ্টিতে কিছু কিছু জায়গায় জল জমেছে। পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে রবীন্দ্রপল্লি, জাফরপুর মোড়, আনন্দপুরী প্রভৃতি এলাকায় জল জমেছে। এদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছিল গোটা বারাকপুর। সিংহভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। বাজার সেভাবে বসেনি বিভিন্ন জায়গায়। গাড়ি চললেও তা কার্যত হাতেগোনা। রাস্তায় লোকজন ছিল না বললেই চলে। বিকেলের পরে শুনশান হয়ে যায় বি টি রোড। অফিসপাড়া এবং আদালত চত্বরে এদিন ভিড়