• ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, কিন্তু বাধ সাধছেন মা,  প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধেই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বাবা
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় ছেলে। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের সেই ইচ্ছেতে বাধ সাধছেন মা! অভিযোগ, তাঁকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মা ঘরে তালা দিয়ে রেখেছেন। এমনকী তাঁকে মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে ছেলের মুক্তির দাবিতে প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাবা। 

    কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা মামলাকারীর অভিযোগ, কয়েক বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তারপর থেকেই ২১ বছরের ছেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগরে তাঁর মায়ের কাছে থাকেন। ছেলের বরাবরের ইচ্ছা, তিনি ইঞ্জিনিয়ার হবেন। সেখানেই আপত্তি মায়ের। বাবার দাবি, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী কখনওই চান না যে ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হোক। সেই কথা মাকে লুকিয়েই বাবাকে জানিয়েছিল ছেলে। যুবকের ইচ্ছের কথা জানতে পেরে বাবা সব ব্যবস্থা করেন। তাঁর দাবি, চলতি বছর রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ভালো স্থান পায় ছেলে। তার ভিত্তিতে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ছেলের ভর্তির ব্যবস্থাও করে দেন বাবা। ভর্তিও হয়েছেন যুবক। তাঁর মাকে লুকিয়েই যাবতীয় ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন বলে দাবি বাবার।

    তাঁর আরও অভিযোগ, কলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছেলের ভর্তির খবর শুনেই ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করতে শুরু করে দিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী। তারপর থেকে ছেলেকে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হচ্ছে। তার উপর অকথ্য মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বাবার। ছেলের মোবাইল জোর করে আটকে রেখেছে মা। মামলায় আরও দাবি, কলকাতার ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছেলেকে ভর্তি করাতেই বিগড়ে গিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। মায়ের দাবি, ছেলেকে কল্যাণীর কলেজে পড়তে হবে। সেইমতো ছেলেকে কল্যাণীর একটি কলেজে জোর করে ভর্তিও করিয়েছেন মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবকের বাবা। মামলায় তিনি দাবি করেছেন, ছেলে যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক, তাই তাঁর ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়ার ব্যবস্থা করুক আদালত। সেই সঙ্গে বর্তমান অবস্থা মুক্ত করা হোক তাঁরে, যাতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে যেতে পারেন। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তর পূজাবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ থাকায় তা হয়নি। আগামী পূজাবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)