• ‘ডানার’ বৃষ্টির জেরে ঘুম উড়েছে কাটোয়া ও দাঁইহাটের মৃৎশিল্পীদের
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তারপরেই কালীপুজোয় মাতবে বাংলা। ‘ডানা’র প্রভাবে নাগাড়ে বৃষ্টিতে চরম চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। ভিজে মাটিতে কিভাবে শুকাবে। কাটোয়া, দাঁইহাটের পালপাড়া গুলিতে এখন রাতের ঘুম উড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। ঘোর সংকটে পড়েছেন তাঁরা। 

    দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর মধ্যে প্রতিবছর বেশ কিছুটা সময় হাতে থাকে। আর তারমধ্যেই কালীপ্রতিমা গড়া হয়। অন্তত খড় বেঁধে একবার কাদার প্রলেপ দেওয়া থাকে। তারপর দুর্গাপুজো মিটতেই পালপাড়া গুলিতে জোর কদমে কালীপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। এবার পঞ্জিকার দেওয়া তিথি অনুয়ায়ী দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর মধ্যে খুব একটা ব্যবধান ছিল না। তার উপরে দুর্গাপুজোর আগে বৃষ্টি ও কালীপুজোর আগে ‘ডানা’র প্রভাবে নাগাড়ে বৃষ্টিতে প্রতিমা গড়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিল্পীরা। প্লাস্টিক দিয়ে ছাউনি তৈরি করেছে। কিন্তু হাওয়ার দাপটে প্লাস্টিক থাকছে না। তাই কালীপ্রতিমা তৈরির কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে কি না,সেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ চিন্তায় পড়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। 

    কাটোয়ার এক মৃৎশিল্পী জানান, কালীপ্রতিমার জন্য আলাদা ভাবে মাটি তোলা থাকে। দুর্গাপুজো মিটলেই কালীপ্রতিমার গায়ে দু’বার মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি ভিজে গলে গিয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বার্নার জ্বেলে কালী প্রতিমা শুকানো হবে।  

    দাঁইহাট শহরের মৃৎশিল্পী ভোলা পাল, সন্তোষ পাল বলেন, ট্রাক্টর প্রতি দেড় থেকে তিন হাজার টাকা মাটি কিনে আনি। এখন সব বৃষ্টির জলে ভিজে গিয়েছে। আরেক শিল্পী রঞ্জিত হালদারের কথায়, ‘ডানা’ আমাদের সব কাজ পণ্ড করে দিল। বৃষ্টি ছাড়তে দু’ তিনদিন সময় লাগবে। তারপর রোদ উঠবে কবে তাও বুঝতে পারছি না। এদিকে হাতে আর একদম সময় নেই। এরমধ্যে অতগুলো কালীপ্রতিমার কাজ শেষ করাই কঠিন হয়ে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)