মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মায়ের? ব্যারাকপুরে তীব্র শোরগোল
এই সময় | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
ঘুমন্ত অবস্থায় ১২ বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠল তার মায়ের বিরুদ্ধেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা মানসিক রোগগ্রস্ত ছিলেন। শুক্রবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরী ডি রোডে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। টিটাগড় থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃতের নাম রাজন্যা ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, মা কবিতা ঘোষের দুনিয়াই ছিল মেয়ে রাজন্যাকে নিয়ে। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন তাঁর স্বামী ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। কয়েকমাস আগেই ব্যারাকপুরে নতুন কেনা বাড়িতে ওঠেন তাঁরা। শুক্রবার বাড়িতে ছিলেন ইন্দ্রজিৎও। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, পাশের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর বহু ডাকাডাকি করলেও স্ত্রী বা মেয়ে কেউই বন্ধ দরজার ভিতর থেকে সাড়া দেননি। এরপর তিনি প্রতিবেশীদের সাহায্য চান। তাঁদের পরামর্শ মেনেই খবর দেন পুলিশে।
দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই ১২ বছরের কিশোরীকে। খাটের সামনে অসংলগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়েছিলেন তার মা। ঘরের মধ্যে কী ঘটেছে? তা বারবার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন ইন্দ্রজিৎ। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি। এরপরেই বিছানায় শুয়ে থাকা মেয়েকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএনবসু হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানেই চিকিৎসকরা রাজন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইন্দ্রজিতের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্ত্রীকে টিটাগড় থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর মন্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর পেয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে যান ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস। তিনি বলেন, 'মর্মান্তিক ঘটনা। শুনেছি কবিতা ঘোষের মানসিক সমস্যা ছিল। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।' ওই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।