• 'দানা'-র প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে কত ক্ষয়ক্ষতি? রিপোর্ট তৈরি করছে প্রশাসন
    এই সময় | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল সাইক্লোন 'দানা'-র বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলার প্রস্তুতও ছিল প্রশাসন। কিন্তু বাংলায় সেই ভাবে দাপট দেখায়নি ‘দানা’। তবে কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়া, বিদ্যুতের পোল ভেঙে বিপত্তি, কিছু এলাকায় ফসল নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। জেলায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? তা জানাতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, আগামী দু’দিনে জেলায় বিস্তারিত সার্ভে করা হবে। তারপরেই ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব।শনিবার থেকে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা গেল দিঘাকে। এ দিন থেকে ফের হোটেল বুক করতে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। আবহাওয়ার উন্নতিও হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও পর্যটকদের ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা হচ্ছে না।

    প্রশাসন সূত্রে খবর, 'দানা'-র জন্য হাওয়ার গতিবেগ বেশি হওয়ায় উপকূলবর্তী বেশ কিছু ব্লকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে নবান্নের নির্দেশে সেই সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রামনগর- ১, রামনগর- ২, দেশপ্রাণ, নন্দীগ্রাম- ১, নন্দীগ্রাম- ২, পূর্ব ও পশ্চিম পাঁশকুড়া-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে হলদিয়া মহকুমায়। জেলায় প্রায় ৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে জেলাজুড়ে, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই। আগামী কয়েকদিন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের (বিডিও) থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে। এরপর সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে নবান্নে।
  • Link to this news (এই সময়)