মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “অনেকে হঠাৎ হঠাৎ করে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। তাকে বার বার বলা হচ্ছে, তুমি প্লাস্টিক বা বাজি মজুত করে রাখতে পারো না। তার পরেও বিশেষ করে, বড়বাজার, টেরিটিবাজারে যে আগুনটা লেগেছিল, সেখানে দমকলের ঢোকার কোনও জায়গা নেই! বললে তর্ক করে।” মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “বড়বাজারে যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিক, পুরসভা এবং দমকলকে সঙ্গে রেখে। হয় তাঁঁরা নিজেরা ব্যবস্থা নিন, না-হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। লোক মারা গেলে তার দায়িত্ব কে নিত? যিনি ব্যবসা করবেন, কর্মী বা মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নেই?”
এই সূত্রেই কলকাতা এবং হাওড়ার রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং নিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, পুলিশ পদক্ষেপ করবে না এখনই। তবে মানুষকে সতর্ক করবে তারা। মমতার কথায়, “এমন করে পার্কিং করে দিচ্ছে রাস্তায়। যাঁদের নিজেদের গ্যারাজ নেই, তাঁদের বোঝাও। অনেকগুলি পার্কিং করা হয়েছে। মাসে ৫০০ টাকা দিয়ে রাখতে পারে। প্রয়োজনে ডেকে নেবে। রাস্তা আটকে থাকলে দমকলের গাড়িও যেতে পারে না। পার্কিং নির্দিষ্ট জায়গায় করতে হবে। পুলিশকে দেখতে হবে। পদক্ষেপ করতে বলছি না। কিন্তু মানুষকে সতর্ক করতে হবে। সেটাই করতে বলছি।”
কলকাতা এবং হাওড়ার রাস্তায় আবর্জনার সমস্যা নতুন নয়। এ নিয়ে অতীতে বহু বার পদক্ষেপের পরিকল্পনা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও কাজ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু তা যে যথাযথ হয়ে ওঠেনি, প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ তা মানছেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাওড়ায় আবর্জনা সরানোর কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। রাস্তাঘাট, নর্দমা পরিষ্কার রাখতে হবে। এত কিছুর পরেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে না ঠিক মতো। কেন্দ্রীয় ভাবে একটাই পরিকাঠামো করতে হবে। গোটা রাজ্যে এক জায়গা থেকে এই কাজ হবে। সব পুরসভা এলাকায় একসঙ্গে হবে। আবার সব পঞ্চায়েত এলাকাতেও তা হবে একসঙ্গে।”