একই সঙ্গে করা হয় প্রথমে কৃষ্ণের এবং পরে মা কালীর পুজো করা হয় ওই দিনে। জানা যায়, ২০১৪ সালে এলাকারই এক বাসিন্দা জয়দেব মন্ডলের স্বপ্ন আদেশের পরে গ্রামবাসী ও ভক্তদের দানেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরে অধিষ্ঠিত মূর্তির রয়েছে এক হাতে খর্গ, অন্য হাতে পদ্ম এবং অন্য দুই হাতে বাঁশি। অর্থাৎ মা কালী ও শ্রীকৃষ্ণের যুগল বন্ধন যাকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বলা হয় কৃষ্ণ কালী মাতা।
এই কৃষ্ণকালী মাতা সৃষ্টির রয়েছে এক কাহিনী। পুরাণ মতে জানা গিয়েছে, শ্রী রাধা ছিলেন আয়ান ঘোষের স্ত্রী। তিনি যখন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে যান তখন আয়ান ঘোষের মা দেখে ফেলেন এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কৃষ্ণ এবং কালী। এরপরেই তিনি দেখতে পান তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণ এবং কালি। রাধা সেখানে উপস্থিত নেই। সেই থেকেই জগতে কৃষ্ণ কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এমনটাই জানাচ্ছেন বর্ষিয়ান পুরোহিত শম্ভু মৌলিক। শ্রীচৈতন্য ধাম নদিয়া জেলায় দুই এক জায়গায় কৃষ্ণ কালী মাতার পুজো করা হলেও কৃষ্ণ কালী মন্দির জেলার আর কোথাও নেই বললেই চলে। তেমনই ২০১৪ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই কৃষ্ণকালী মাতার পুজো হয়ে আসছে নদিয়ার হোগলবেরিয়া থানার সেনপাড়া গ্রামে।