জানা গিয়েছে, রাত থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘর বন্ধ করে দিয়েছে মা। অনেক ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও ঘর খোলেনি মা। প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও দরজা খোলেনি মা। তারপর বাধ্য হয়ে পুলিসকে ডাকা হয়। তারপর দরজা খুলে দেখতে পায় বিছানায় শুয়ে আছে মেয়ে। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে মা। বাবা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বুঝতে পারে যে অনেকক্ষণ আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাবা ইন্দ্রজিত্ জানিয়েছে, তাঁর স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে। স্ত্রী বরাবরই মেয়েকে চিন্তায় থাকতেন। ভাবতেন যে, মেয়ে বড় হচ্ছে। তার উপর বাইরের লোক অত্যাচার করবে। এইসব ভেবেই ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন তাঁর স্ত্রী। এলাকা সূত্রে খবর, ইন্দ্রজিত্ তাঁর একমাত্র মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে এক বছর আগেই এখানে আসেন। পাড়ার লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না কেউই। এমনকি কথাবার্তাও বলতেন না। বাড়িতে তাদেরর কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসাযাওয়া করতে কেউ দেখেনি। ইতোমধ্যেই টিটাগর থানার পুলিস এসে তাকে গ্রেফতার করেছে কি কারনে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।