ধীমান রায়, কাটোয়া: আসন্ন কালীপুজো ও কার্তিকপুজো সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পুজোকমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করল কাটোয়া জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, পর পর দুদিন কার্তিকপুজো ও কালীপুজো নিয়ে বৈঠক হয়। এবছরের কার্তিকপুজোর লড়াইতেও ডিজে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কার্তিক বিসর্জনের শোভাযাত্রায় গেট এবং আলোকসজ্জার সর্বোচ্চ দৈঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা কী হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কাটোয়া মহকুমাশাসকের সভাকক্ষে কার্তিক পুজো কমিটিগুলির কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়। ছিলেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক অহিংসা জৈন, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা। এছাড়া দমকল বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকরা ছিলেন। কাটোয়া শহরের সবচেয়ে বড় উৎসব কার্তিকপুজো। আর কার্তিকপুজোয় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কার্তিকের লড়াই। আগামী ১৬ নভেম্বর কার্তিক পুজো। পরেরদিন শোভাযাত্রা, যা কার্তিকের লড়াই বলে পরিচিত। এই কার্তিক লড়াই দেখতে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে কাটোয়া শহরের মোট ৮৮ টি পুজোকমিটি কার্তিক লড়াইয়ে অংশ নেবে। কার্তিক প্রতিমা, সুসজ্জিত আলো এবং বাজনার দল নিয়ে পুজো কমিটিগুলি যখন শোভাযাত্রা বের করে, তখন কাতারে কাতারে মানুষ তা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। এই শোভাযাত্রা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সেজন্য প্রতিটি কমিটিকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ডিজে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন পুরসভা থেকে একাধিক সহায়তাকেন্দ্র চালু থাকবে। থাকবে স্বাস্থ্য শিবিরও।
আর শুক্রবার কাটোয়া থানায় কালীপুজো নিয়ে বৈঠক হয়। ছিলেন কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি, কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কাটোয়া থানা এলাকায় প্রায় ৩৫০ টি কালীপুজো হয়। তার মধ্যে কাটোয়া শহরের খ্যাপাকালী, ঝুপোকালী, দাঁইহাটের বড়মার মন্দিরে মিলে লক্ষাধিক পুন্যার্থীর সমাগম হয়। কালীপুজোর ক্ষেত্রেও পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে, পরিচয়পত্র-সহ পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে।