গঙ্গায় তলিয়ে গেল পাকা বাড়ি ও জমি, আতঙ্কে সামসেরগঞ্জের ধানঘরা
এই সময় | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
ফের ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙ্গনের কবলে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধানঘরা গ্রাম। শুক্রবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যেই তলিয়েছে ২৫০ মিটার জমি, ১০টি লিচু গাছ, শৌচালয়, টিউবওয়েল-সহ দু'টি পাকা বাড়ি। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে আরও কিছু ঘরবাড়ি, আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাঁরা জানান, বাড়িগুলি বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে।একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে গঙ্গার জলস্তর কমায় এই গঙ্গা ভাঙন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন ধানঘরা গ্রামের বাসিন্দারা। অনেকেই বাড়ি থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এলাকা ছাড়ছেন। শুক্রবার রাত জেগেছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এই ধানঘরা গ্রামে শুরু হয় গঙ্গা ভাঙন। বহু জমি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়িঘর। মাঝে আর সেভাবে ভাঙনের তাণ্ডব না চললেও শুক্রবার গভীর রাতে গ্রামের একটি লিচু বাগান সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চোখের সামনেই তলিয়ে যায় গাছ, জমি, ঘরবাড়ি। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। যে ভাবে গঙ্গায় ভাঙন হয়েছে তাতে সারারাত গ্রামের কেউ দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি।
সামসেরগঞ্জ ব্লক ভাঙন কবলিত এলাকা হিসাবেই চিহ্নিত। এলাকার বাসিন্দারা রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয় সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজ্য সরকার একাধিকবার সাহায্যের আশ্বাস দিলেও বিশেষ কোনও সাহায্য মেলেনি বলে ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই অভিযোগ তাঁরা করেছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে অহেতুক লাখ লাখ টাকা খরচ হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কোনও পরিকল্পনা কোনও সরকারই সামনে আনেনি বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সামসেরগঞ্জ ব্লকের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ বলেন,'প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের পাশে থাকার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।'