কৃষ্ণনগরে তরুণী মৃত্যু কাণ্ডে নয়া মোড়। এই ঘটনায় একটি নয়া অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি, যার জেরে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। সেই অডিয়ো ক্লিপ অনুযায়ী, মৃত তরুণী এবং ধৃত যুবকেরই বন্ধু কথা বলছিলেন ধৃত যুবকের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে তাতে এক পুরুষকণ্ঠে বলতে শোনা যায়, 'কেরোসিন তেল, দেশলাই কিনেছে মরবে বলে।'
পুরুষকণ্ঠ: কেরোসিন তেল কিনেছে নাকি। সঙ্গে দেশলাইও।
মহিলাকণ্ঠ: কী করবে?
পুরুষকণ্ঠ: মরবে।
মহিলাকণ্ঠ: পাগল নাকি?
পুরুষকণ্ঠ: আমি বললাম, যা খুশি করো।
মহিলাকণ্ঠ: তোমাকেই ফোন করছে। জানি না, কিছু করবে কি না। যদি কিছু করে বসে, তোমাকেই ফোন করবে।
পুরুষকণ্ঠ: আরে হ্যাঁ। আমার তো চাপ হয়ে যাচ্ছে।
দাবি করা হচ্ছে, এই কথোপকথনের মহিলাকণ্ঠ যে তরুণী তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। তিনি একসময় ধৃতের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেই সময় নাকি একবার তরুণীর শিঁথিতে সিঁদুরও পরিয়ে দিয়েছিলেন সেই ধৃত যুবক। পরে যদিও সেই সম্পর্কে ছেদ ঘটে। এদিকে সম্প্রতি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কৃষ্ণনগর কাণ্ডে ছাত্রীর স্টেটাস দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে এক বান্ধবী ধৃত যুবককে ফোন করেছিলেন। সেই কথোপকথন চলেছিল ৪০ মিনিট ধরে। পরে নাকি শেষবার রাত ১২টা ২ মিনিট নাগাদ ছাত্রীকে ফোন করেছিলেন প্রেমিক। তবে তখন আর ফোন ধরেননি তরুণী। এরপর ১৬ অক্টোবর সকালে পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের ঘটনায় পুলিশ গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবে তদন্ত এগোতেই প্রশ্ন উঠেছে, সেই তরুণীকে কি আদৌ খুন করা হয়েছিল নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন? হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের পোস্ট এবং মাকে পাঠানোর তরুণীর বার্তার জেরেই সেই ধন্দ তৈরি হয়েছে। সেই সব পোস্টে লেখা হয়েছিল, 'আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়'। যদিও মৃতার মায়ের অভিযোগ, জোর করে মেয়েকে দিয়ে তা লেখানো হয়েছিল। এদিকে জেরার মুখে ধৃত প্রেমিক জনায়, ১৫ অক্টোবর তার অন্য এক বান্ধবীর সঙ্গে সে রানাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। তা নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ ফোনে কথ কাটাকাটি হয়েছিল সেই ছাত্রীর সঙ্গে। পরে কান্নাকাটি করেছিল সেই ছাত্রী। পরে সেই ছাত্রীর পোস্ট করা 'আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়' স্টেটাস দেখে যুবককে ফোন করেছিলেন সিনেমা দেখতে যাওয়া সেই বান্ধবী।