‘উনি ভেবেছিলেন ঘূর্ণিঝড় এখানে আছড়ে পড়বে আর আবার কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইবেন’
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় কোলাঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন ঘূর্ণিঝড় দানা এখানে আছড়ে পড়বে আর তখন উনি আবার কেন্দ্রের কাছে ৩০ – ৩৫ হাজার কোটি টাকা দাবি করবেন।’
শুক্রবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে এক পয়সাও দেয় না। এদিন সেই দাবি খণ্ডন করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই দফতরের ৬০ শতাংশ খরচ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার কোনও হিসাব না দিলেও এবছরও তার পুরো টাকা তারা পেয়েছে।’
শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন ঘূর্ণিঝড় দানা এখানে আছড়ে পড়বে। পড়লে সব উড়ে টুড়ে যাবে। আর তখন উনি আবার কেন্দ্রের কাছে ৩০ – ৩৫ হাজার কোটি টাকা দাবি করবেন। যদি কিছু পাওয়া যায়।’
এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আগে ত্রাণ বণ্টনে রাজনীতি ছিল না। বাম জমানাতেও ৩ সদস্যের কমিটি ত্রাণ বণ্টনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিত। উনি এসে সেসব তুলে দিয়েছেন। নবান্নে বসে মিথ্যে কথা বলছেন। ২ লক্ষ ১৬ হাজার লোককে না কি তুলেছেন! চ্যালেঞ্জ করছি, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, কোন ক্যাম্পে কতজন রেখেছিলেন। নামের তালিকা দিন। আমি ১ লক্ষ ৫০ হাজার লোককে দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলিয়ে দেব, আমি ত্রাণ শিবিরে ছিলাম না।’
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেই তো কেউ যায়নি। সেখানে তো শৌচাগার আর পানীয় জলটুকু নেই। কিছু লোককে পাইয়ে দিতে বাড়িগুলো বানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়রা এই সব টেন্ডার কন্ট্রোল করে।’