রাজ্য–রাজনীতি হঠাৎ সকাল থেকে সরগরম হয়ে উঠল দুটি বিষয় নিয়ে। আর এই দুটি বিষয়ে যাঁরা শোরগোল ফেলেছেন নেটপাড়ায় তাঁরা হলেন—তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এবং সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সুতরাং একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা এবং নস্যাৎ করার ঘটনায় আলোড়ন যে পড়বে সেটাই দস্তুর। একে অন্যকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেননি। তাই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ তুলে আক্রমণ করেন কুণাল। পাল্টা সেটা যে বাস্তবিক নয় জানিয়ে দেন মীনাক্ষী।
আজ, শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি ঘটনা পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কুণাল। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘ছিঃ মীনাক্ষী। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম সিপিএমের রাজনৈতিক শত্রু হতে পারেন। কিন্তু তার ছবি বিকৃত করতে গিয়ে দাড়ি, বোতল, মুসলিম সমাজ, মসজিদের ছবি এনে অসম্মান, কুরুচির এই প্রতিফলন ধিক্কারযোগ্য। এই পোস্ট অবিলম্বে ডিলিট করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজনীতিতে পেরে না উঠলেই এমন বিকৃতি আসে। এই প্ররোচনামূলকভাবে কোনো ধর্মকে অপমান করা ঘোরতর অন্যায়। তবে, সিপিএম তো, এরকমই মানসিকতা স্বাভাবিক।’
কুণাল ঘোষের এই পোস্টের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সেটাও যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ফিরহাদ হাকিমের লম্বা দাড়ি দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে সেখানে হাতে বোতল এবং মাথায় টুপি পরা কলকাতার মেয়রের ছবি। পিছনে ঝড় উঠেছে। আর সব মুসলিম ধর্মাবলম্বি মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াচ্ছেন। এটা ভারতের সংবিধান মতে পরিপন্থী। কুণাল ঘোষের দাবি এই পোস্ট করা হয়েছে সিপিএম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের এক্স হ্যান্ডেল থেকে। কিন্তু সেটা কি সত্যি? এই নিয়ে পাল্টা পোস্ট করেছেন মীনাক্ষীও। তা নিয়ে এখন বিপাকে কুণাল।
ঠিক কী লিখেছেন মীনাক্ষী? কুণাল ঘোষের এই পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এটা যে সর্বৈব অসত্য তা তুলে ধরেছেন সিপিএমের যুবনেত্রী। সুতরাং এক্স হ্যান্ডেলে তোলপাড় কাণ্ড বেধে গিয়েছে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ। সজাগ থাকুন, সঠিক থাকুন। দুটো সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ছাড়া মিনাক্ষী মুখার্জীর আর কোনো নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট বা পেজ নেই।’ অর্থাৎ কুণাল ঘোষ যে অভিযোগ তুলেছেন তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ওই পোস্ট যে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় করেননি তাও তুলে ধরেছেন। সুতরাং কুণালের ছোড়া তির ফলস হয়ে গেল।