অমিত শাহের বাংলা সফরে সূচির ব্যাপক রদবদল, উপনির্বাচনের আগে বসবেন বৈঠকে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
রবিবারই কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু আবার একবার কাটছাঁট করা হয়েছে শাহের সফরে। গত বুধবার বাংলায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেটা বাতিল হয়ে যায়। বাতিলের করার কারণ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আজ, শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রভাব ফেলায় এবারও সূচিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা তাঁর কানেও পৌঁছেছে। নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা–মায়ের চিঠিও তিনি পেয়েছেন। আর তারপরই রাজ্যে এসে অমিত শাহ নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা–মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে দলের সাংগঠনিক বৈঠক করার পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা আছে অমিত শাহের। আরামবাগের সমবায় সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে রবিবার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভবত হচ্ছে না। সূচি থেকে তা ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে খবর। কারণ সেখানে হেলিকপ্টার নামার মতো পরিস্থিতি নেই। মাঠ এবং সংলগ্ন এলাকায় জল জমে রয়েছে। তাই এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরামবাগেই মধ্যাহ্নভোজ করার কথা ছিল অমিত শাহের। সেটিও বাতিল করা হয়েছে। তবে বাকি কর্মসূচি যেমন ছিল তেমনই থাকছে।
অন্যদিকে কল্যাণীতে বিএসএফের একটি সরকারি কর্মসূচিতে উপস্থিত হবেন অমিত শাহ। তারপর সেখান থেকে চলে আসবেন ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে। সেখানে দলের সদস্য করার অভিযানের সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনে রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। তা নিয়ে স্ট্র্যাটেজি বাতলে দিতে পারেন শাহ। এবার তারকা বক্তার তালিকায় নেই দিলীপ–সুকান্ত। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে ঘরোয়া বৈঠকে। ওই বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী–সহ রাজ্যের প্রথমসারির নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখন সুকান্ত মজুমদার। তারপরেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ সামলাচ্ছেন। যা বিজেপির ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ রীতির বিরোধী। এই অবস্থায় বাংলার বিজেপির শীর্ষপদে কাকে আনা হবে সে বিষয়টি নিয়েও নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রাজ্য নেতৃত্বের প্রস্তুতি কেমন সেটা জেনে নেবেন অমিত শাহ। মাদারিহাট ছাড়া তেমন কোনও আশা দেখছেন না কেউ। বাকি পাঁচটি আসনে সংগঠন তেমন মজবুত নয় বলে মনে করছেন সকলেই। তার উপর মাদারিহাটে গোর্খারা নির্দলকে সমর্থন করেছে। তাতে কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি।