আরজি করের আরও ২ চিকিৎসকের নামে গুরুতর অভিযোগ CBI-এর, 'জানি না' বলেও তদন্তে সরকার
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ অক্টোবর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে দুর্নীতির বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আরজি করের খুনের ঘটনার সঙ্গে দুর্নীতির যোগ থাকতে পারে, এই সম্ভাবনার থেকেই সিবিআই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই আবহে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন খোদ সন্দীপ ঘোষ। আর সম্প্রতি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, আরজি করের এমন আরও দুই চিকিৎসকের নাম স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর আগে গত ৪ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে সিবিআই দাবি করেছিল, আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন দফতরের অধ্যক্ষ দেবাশিস সোম এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুজাতা ঘোষ এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এই আবহে এই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছিল সিবিআই। যদিও সেই চিঠি পেয়ে নাকি স্বাস্থ্য দফত জানিয়েছিল, ওই দু’জনের দুর্নীতির বিষয়ে তারা অবগত নয়। তবে সিবিআই-এর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সিবিআই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের নাম পাঠালে রাজ্য বিবেচনা করবে। এর পরেই দেবাশিস ও সুজাতার নাম উল্লেখ করে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই। আর তার জবাবে পালটা চিঠি দেয় স্বাস্থ্য ভবন। এর আগে আরজি কর তদন্তে নেমে দেবাশিস ও সুজাতাকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এই দু'জন সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় খুন থেকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ সহ আরও অনেকে। এর মধ্যে দুর্নীতি মামলাতেই আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সেই দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে সম্প্রতি আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র নেতা তথা চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেও। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর ছাড়াও অন্যত্র দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ এবং আশিস পাণ্ডে।
এদিকে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্কে বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট দায়ের করে মামলার তদন্ত চলছে। এই তদন্ত চলাকালীন সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সন্দীপই নিজের আত্মীয়দের নামে এই সব সম্পত্তি কিনে থাকতে পারেন। এই আবহে সম্পত্তি কেনার ওই টাকা কোন উৎস থেকে এসেছে, তা জানতে সন্দীপের আত্মীয়দের লিখিত বয়ানও নেওয়া হয়েছে।