• রামনগরে সবুজে সবুজ, সমবায়ের ভোটে তৃণমূল ৩৮-বিজেপি ১০
    এই সময় | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে সমবায় সমিতির ভোটে বড়সড় সাফল্য পেল শাসকদল তৃণমূল। ৪৮ আসনের সমবায় সমিতির ৩৮টিতেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ১০টি জিতেছে বিজেপি। লোকসভার নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর বিজেপির শক্ত গড় হলেও, বিধানসভা হিসাবে রামনগর তৃণমূলের যথেষ্ট শক্ত ঘাঁটি। সেখানেই তাজপুর দক্ষিণবাড় কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোটে জয় পেল তৃণমূল।শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর-২ ব্লকের বাদলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তাজপুর সমবায়ে পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচন ছিল। সেই ভোটেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তিকে যথেষ্ট কোণঠাসা হতে হয়।

    তৃণমূল ৪৮টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী দেয় ৪৫টিতে। ফলে তিনটি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় শাসকশিবির। শনিবার নির্বাচনে ৩৫টিতে জয়ী হয় তারা।

    শনিবার সকাল থেকে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমবায় সমিতির অফিস চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকার বাদলপুর গ্রামপঞ্চায়েত যায় বিজেপির দখলে। এদিন সমবায়ে জয়ের পর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম দাস বলেন, 'বিজেপি যে কোনও উন্নয়ন করতে পারবে না, মানুষ তা বুঝে গিয়েছেন। তাই হাত উপুড় করে তৃণমূলকে জিতিয়েছেন।'

    এই সমবায় সমিতিতে ২ হাজারের উপরে ভোটার। সকাল থেকেই লম্বা লাইন ছিল তাঁদের। বিকাল ৪টে অবধি চলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এরপর গণনা শুরু হয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ভোট গণনা শুরু হয়।

    এ বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, 'ওরা নিজেদের এলাকাতেই হেরে যাচ্ছে। কোথাও আবার প্রার্থীও দিতে পারছে না। বাংলায় বিজেপির যেটুকু শক্তি ছিল তা ক্ষয়ে যাচ্ছে।'

    জেলা বিজেপির সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল পাল্টা বলেন, 'আমরা লড়াই করেছি। তবে সমবায় সমিতিগুলি দীর্ঘদিন তৃণমূলের পক্ষে থাকায় বেছে বেছে সদস্যপদ করিয়েছে। বিজেপি ওই অঞ্চলে এগিয়ে থাকলেও কতগুলি গ্রাম নিয়ে সমবায় সমিতি হয়। কয়েকটি বুথে তৃণমূলের শক্তি রয়েছে। তবে আমরা ভাল লড়াই দিয়েছি, ভাল ফলও করেছি।'
  • Link to this news (এই সময়)