অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: দীর্ঘদিন রাস্তার হাল বেহাল। আকছার ঘটে দুর্ঘটনা। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে রাস্তায়। চলাফেরা করাই দায়। এই অসুবিধাগুলো নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। দুটি ব্লকের মধ্যে দিয়ে ওই রাস্তাটি গিয়েছে বলে কোনও বিডিও অফিস রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব নিতে চায়নি বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। শনিবার রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করার পর রবিবার থেকেই খারাপ রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দিল প্রসাশন।
মুর্শিদাবাদের রানিনগর ও সাগরপাড়া থানার সীমান্ত বাজার এলাকার শেখপাড়া-জলঙ্গি ও নাখেরাজ-জলঙ্গি সড়কের ঘটনা। জানা গিয়েছে, নাখেরাজের দিক থেকে লছিমন মোড় পর্যন্ত মাত্র ২৪০ মিটার রাস্তা যা রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির দিকে ১২০ মিটার ও জলঙ্গির দিকে ১২০ মিটার পড়ে। দীর্ঘদিন যার সংস্কার বা মেরামত কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ওই অংশ খানাখন্দে ভর্তি। এমনকী রাস্তার খাদে বিচুলি ভর্তি একটি গাড়ি অর্ধেক উলটে রয়েছে।
বিক্ষোভকারী তহিদুল ইসলাম জানান, “মাত্র ২৪০ মিটার রাস্তা মেরামতির জন্য পথ অবরোধ করতে হচ্ছে আমাদের। নটিয়াল গোধনপাড়া রাস্তার ১০ কিলোমিটার ঝাঁ চকচকে। কিন্তু নাখেরাজের দিক থেকে লছিমন মোড় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার বা মেরামত কিছুই হয়নি। এ নিয়ে জলঙ্গি বিডিও অফিসে গেলে জানায় ওই রাস্তা তাঁদের অংশের মধ্যে পড়ে না। আবার রানিনগর ২ ব্লকের বিডিওর কাছে গেলেও ওই একই কথা বলেন। আর নেতাদের ধরলে বলেন ঠিক আছে দেখব, দেখছি। কিন্তু কাজ কিছুই হয় না।” নটিয়াল বাজার কমিটির সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন সরকার বলেন, “বেহাল রাস্তার জন্য বাজারের ব্যবসা মার খাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গেলে বলে রাস্তা নাকি তাদের মধ্যে পড়ে না।”
এদিন পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাগরপাড়া থানার পুলিশ। যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি, জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিরুল ইসলাম ও যুগ্ম বিডিও রাকিবুল ইসলামও-সহ অনেকে। তাঁরা দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। অবশেষে রবিবার থেকে কাজ শুরু করে এক মাসের মধ্যে রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দেন তাঁরা। এর পরই অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।