• ‘‌ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী আমি’‌, অধিকারের দাবিতে ডেরায় বিলকিস
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • হাতে আর তিনদিন। তারপরই রাজ্যজুড়ে মেতে উঠবেন মানুষ কালীপুজো নিয়ে। শহর থেকে জেলায় ভিড় উপচে পড়বে কালীপুজো উপলক্ষ্যে। তবে তার আগে বড় খবর হয়ে গেল রাজ্য–রাজনীতিতে। নিজের স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে এবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ডেরাই হাজির হলেন মৃন্ময়ী বিলকিস। নওশাদ সিদ্দিকীর বিধানসভা ভাঙড়ের উত্তর কাশিপুর থানার চিনেপুকুরের একটি রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে বাতাবরণ। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তাঁর স্বামী বলে ভরা মঞ্চে দাবিই করলেন মৃন্ময়ী বিলকিস।

    এই ঘটনায় আইএসএফ বিধায়কের অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ সামনে বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। সেখানে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে হাড়োয়া আসনটি আইএসএফের জন্য ছেড়ে রাখা হয়েছে। সেখানে এমন অবস্থা তৈরি হলে আইএসএফ হাড়োয়া কেন্দ্রে সাফল্য পাবে না। যদিও আইএসএফের অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাঙড়ের বিধায়কের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার জন্যই ষড়যন্ত্র করেছে রাজ্যের শাসকদল। পাল্টা ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লা আজ, শনিবার ওই মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন।

    ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার চিনেপুকুরে একটি রক্তদান শিবিরে আসেন নওশাদের স্ত্রী। সেখানে নওশাদের উদ্দেশে মৃন্ময়ী বিলকিসের বার্তা, ‘আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দাও। আমার কোনও অভিসন্ধি নেই। আমি নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী আমি। আমি মুসলমান বাড়ির মেয়ে। আজ নিজের অধিকারের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে এসেছি। ওঁর দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে কি আমি আমার অধিকারের দাবি করব না?‌ সে কথা কি ভুলে যাব? দল আগে না একটা জীবন আগে? আমি নিজের জীবনের কথাই তো আগে ভাবব।’‌

    এই ঘটনা নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে ভাঙন এলাকায়। সেখানে নওশাদ একেবারে চুপ করে আছেন। কিছু বলছেন না। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন মৃন্ময়ী বিলকিস। মৃন্ময়ী বিলকিসের এই দাবির পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ভাঙরের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিলকিস। মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাকে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। আর শওকত মোল্লার বক্তব্য, ‘‌আমি মনে করি বিলকিসকে ন্যায্য অধিকার দেওয়া উচিত। ভাঙড়ের বিধায়ক নানা আন্দোলন–কর্মসূচি থেকে নানা কথা বলে থাকেন। মহিলাদের সম্মানের কথাও বলেন। ওঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠছে। নওশাদের উচিত ওই মহিলাকে মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলা।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)