‘বড় হচ্ছে’, দিনকাল ভালো নয়..আশঙ্কায় একমাত্র মেয়েকে খুন মায়ের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বাবা। আর বছর ১২র রাজন্যা তার নিজের ঘরে ছিল, সঙ্গে ছিলেন মা। অভিযোগ, নিজের মেয়ে রাজন্যাকে খুন করেন মা কবিতা ঘোষ। ঘটনায় কার্যত বাকরুদ্ধ ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকা। ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীর ডি রোডের এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ঘোষের বাড়িতে এমন নির্ম কাণ্ড ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে। কেন এমনটা করলেন মা কবিতা?
মেয়েকে খুনের অভিযোগে ব্যারাকপুরের বাসিন্দা কবিতা ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। নিজের মনে তিনি বিড়বিড় করে বলছেন,'বড় হচ্ছে। ওপর ওপর অন্যরা অত্যাচার করবে, এটা হতে পারে না। আর কেউ ওর কিছু করতে পারবে না।' তাঁর মতে দিনকাল ভালো নয়। মেয়ে বড় হলে তার ওপর অত্যাচার হবে। এই ভাবনা থেকে আশঙ্কার জেরে নিজের মেয়েকে গলা টিপে খুন করেছেন বলে অভিযোগ মা কবিতার বিরুদ্ধে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন ভাবনা? কী থেকে এমন ভাবনা? জানা যাচ্ছে, বহুদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কবিতা।
শ্যামনগরের গাঙ্গুলিপাড়ার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। তাঁর ও কবিতার ১৫ বছরের দাম্পত্য। কিছুদিন আগে তাঁরা ব্যারাকপুরের ডি রোজে এসে বসবাস শুরু করেন। প্রতিদিন দুপুরে আলাদা ঘরে ঘুমোন মা। সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে শুতেন তিনি। সেই মতো শুক্রবারও মেয়েকে নিয়ে দুপুরে আলাদা ঘরে শোন। এদিকে, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও দরজা কিছুতেই খুলছিল না। বাবা ইন্দ্রজিৎই দরজা ঠেলে ঢোকেন ঘরের ভিতর। দেখেন বিছানায় শুয়ে রয়েছে তাঁর কন্যা সন্তান ১২ বছরের রাজন্যা। প্রথমে নিথর দেহ দেখে একটু সন্দেহ হয়। ততক্ষণে ঘরে পায়চারি করছেন রাজ্যনার মা কবিতা। তাঁর আচরণ একেবারে অন্যরকমের। আর মুখে বিড়বিড় করে যাচ্ছেন, ওর উপরে অন্যেরা অত্যাচার করবে, এটা হতে পারে না। তখনই মৃত মেয়েকে দেখে তাজ্জব হয়ে যান ইন্দ্রজিৎ বাবু। বিশ্বাস করে উঠতে পারছিলেন না কী ঘটে গিয়েছে। পুলিশ নেমেছে তদন্তে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন গলা টিপে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় এক ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত রাজন্যা। তার মৃত্যিতে শোকস্তব্ধ পরিবার।