• ‘ডানা’র প্রভাবে ঘরময় স্যাঁতসেঁতে ভাব, মুখ দেখা যাচ্ছে না আয়নায়
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর:  ঘুম ঘুম চোখে দেওয়ালের আয়নায় মুখ দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ বোলপুরের গৃহবধূ গার্গী মুখোপাধ্যায়ের। আয়নায় মুখ তো দেখাই যাচ্ছে না, বরং তা বাষ্পে ছেয়ে গিয়েছে। এমনকী টাইলসের মেঝেতেও একেবারে ভিজে ভাব। পিছলে পড়ার উপক্রম। ঘরময় স্যাঁতসেঁতে ভাব। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হলেও এত ভিজেভাব কখনই লক্ষ্য করা যায়নি। হলটা কী? প্রতিকার জানতে ফেসবুকে পোস্ট করতে গিয়ে দেখেন বাকিদেরও হাল তাঁর মতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ভিজে দেওয়াল, টাইলসের মেঝের ছবিও শেয়ার করেছেন। এমনটা হওয়ার কারণ অবশ্যই ডানার নিম্নচাপ। মূলত, বৃষ্টির কারণে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্পের জন্যই এই পরিস্থিতি বলে শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃষ্টি ও ঠান্ডা ভাবের কারণে ঘরের দরজা জানালা 

    বন্ধ রয়েছে বলেই এই অবস্থা। হাওয়া চলাচল বা রোদ উঠলেই আগের মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। 

    আবহবিদদের পরিভাষায় একে বাষ্পীভবন বলে। আদতে তরল পদার্থের পৃষ্ঠতল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। সহজ কথায়, যখন কোনও তরল পদার্থের পৃষ্ঠতল থেকে কণাগুলি বের হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়, সেই ঘটনাকেই বৈজ্ঞানিকভাবে বাষ্পীভবন বলা হয়। ‌ ঘূর্ণিঝড় ডানা ও তার প্রভাবে নিম্নচাপের কারণে অতিবৃষ্টি হওয়ার জন্যই এই অবস্থা হয়েছে। একেই সূর্য মামার দেখা নেই, তার উপর বৃষ্টি ও ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকে দরজা-জানলা বন্ধ করে রেখেছেন-এই কারণগুলিই বাষ্পীভবন হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ঘটনাটি নিয়ে দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অধিকাংশজনই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। ফেসবুকে একটি গ্রুপে  সুমন্ত রুজ লিখেছেন, এদিন সকাল থেকেই বিষয়টা খেয়াল করছি। ঘরের দেওয়াল ও মেঝে প্রবল পরিমাণে ঘামছে। অন্যদের সঙ্গেও কি একই ঘটনা ঘটছে? উত্তরে অনেকেই নিজেদের বাড়ির অবস্থার ছবি কমেন্ট সেকশনে তুলে ধরেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)