সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে টোটোর রুট বিন্যাসে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিস প্রথমে নম্বরহীন অর্থাৎ অবৈধ টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করে। তারপর নম্বরযুক্ত টোটোর রুট বিন্যাসের কাজ করেছে। এক জায়গায় টোটোর ভিড় এড়াতে শহরের চারদিকে সমানভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই রুট বিন্যাসের সিদ্ধান্ত। সেই মতো বিভিন্ন টোটোকে রুট অনুযায়ী নানা রঙের স্টিকার দেওয়া হচ্ছে। এই স্টিকার অর্থাৎ রুট বণ্টনের ক্ষেত্রে
শিলিগুড়ির মেয়রের কাছে বৈষম্যের অভিযোগ জানালেন শহরের কিছু টোটোচালক।
শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পারমিতা দত্ত মেয়র গৌতম দেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে টোটো চালান। কিন্তু তাঁকে প্রথমে সবুজ স্টিকার দেওয়া হয়েছিল। সেটা ছিল জংশন থেকে স্টেশন ফিডার রোড হয়ে এনজেপি রুটের জন্য। কিন্তু হঠাৎ তা বদলে দিয়েছে। প্রথমে সবুজ স্টিকার দিয়ে তাকে আবার নতুন রুট দেওয়ার জন্য তিনি মেয়রের হস্তক্ষেপ চান। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপি দাস এদিন ফের তার টোটোর রুট বণ্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ করেন। তিনি মেয়রকে বলেন, আমার বাড়ি শক্তিগড় এলাকায়। কিন্তু আমাকে বাড়ির কাছাকাছি রুট না দিয়ে মাল্লাগুড়ি এলাকার রুট দেওয়া হয়েছে। শক্তিগড় থেকে মাল্লাগুড়ি গিয়ে টোটো চালানো সমস্যার। তাঁর দাবি, রুট বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল, যারা যে এলাকার বাসিন্দা, তাদের সেই মতোই রুট দেওয়া হবে। মেয়র তাদের বলেন, বিষয়টি ট্রাফিক পুলিস দেখছে। তাদের সঙ্গে কথা বলব। যদিও শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর রুট বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, শহরের মধ্যে টোটো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা রুট বিন্যাসের কাজ শুরু করেছি। সেইমতো বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে নম্বরযুক্ত টোটোদের নানা রঙের স্টিকার দেওয়া চলছে। কিছুদিন পর যদি কোনও টোটোচালক মনে করেন, তার রুট পরিবর্তনের দরকার, তাহলে তাকে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন আমরা পরিস্থিতির সঙ্গে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।