নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের সর্বত্র সেতুগুলির কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করেছিল পূর্তদপ্তর। সম্প্রতি এই সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে দপ্তরের পদস্থ কর্তাদের কাছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ৩১টি সেতুকে ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এই সেতুগুলির সংস্কারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ফের একবার পরিদর্শনের পরেই চূড়ান্ত হবে বলেই সূত্রের খবর। পদস্থ কর্তারা খতিয়ে দেখবেন কোন সেতুতে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, ভারবহন ক্ষমতা কেমন রয়েছে ইত্যাদি। পুনরায় যাচাই করার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
পূর্তদপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণে থাকা মোট ২০৮৯টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৩১টি ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ সেতুর পাশাপাশি ১৮২টি সেতুকে ‘অল্প ক্ষতিগ্রস্ত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়ার কথা ছিল। গত ২৩ অক্টোবর দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়ের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। পুজোর আগে জমা পড়া এই রিপোর্ট নিয়ে আগেই দপ্তরের আধিকারিকরা প্রাথমিক আলোচনা করেছিলেন। ২৩ অক্টোবরের বৈঠকে ৩১টি ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ সেতুর পুনরায় সমীক্ষার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। এক আধিকারিক জানান, ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে প্রবল বন্যার সম্মুখীন হয়েছে বাংলা। তার কিছুদিন পরেই ধেয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ফলে ফের একবার পরিদর্শনের প্রয়োজন আছে। সেই কারণেই এবারের চূড়ান্ত পরীক্ষার পরেই সেতুগুলির মধ্যে কোনটির কী কাজ হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শুক্রবার ডানা পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে সেতুগুলির ফের একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।