নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়া: হাওড়ার শিবপুরে দুষ্কৃতী খুনের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করল সিটি পুলিস। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত দু’জন গ্রেপ্তার। এবং অধরা চার।
চলতি সপ্তাহের বুধবার শিবপুর থানার কাছে জিটি রোডে গুলিতে খুন হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী আবদুল কাদের ওরফে প্রেম। জানা গিয়েছে, দুই দুষ্কৃতী দলের গ্যাং ওয়ার চলছিল। সেই ওয়ারের জেরেই খুন হতে হয় প্রেমকে। বৃহস্পতিবার অন্য গোষ্ঠীর নওয়াজ আনসারি ওরফে বুদুকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। আরও পাঁচজন খুনে জড়িত বলে সন্দেহ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এছাড়া শুক্রবার গভীর রাতে মহম্মদ দানেশ নামে আরও একজনকে পাকড়াও করে পুলিস। জানা গিয়েছে, দানেশের চালানো গুলিতেই মৃত্যু হয় প্রেমের।
বুধবার রাত ১১টা নাগাদ পিএম বস্তির কাছে জিটি রোডের ওপর দাঁড়িয়ে প্রেম মোবাইলে ভিডিও দেখছিল। তখন দু’টি বাইকে তার কাছে এসে দাঁড়ায় চার দুষ্কৃতী। একটিতে ছিল দানেশ। সে বাইকে বসেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। তারপর বাইক থেকে নেমে ধারাল চপার বের করে প্রেমের গলায় কোপ মারে। সিসিটিভি ফুটেজে প্যান্ট ও জুতো দেখে তাকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। হাওড়া সিটি পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতকে ছ’দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকিরাও খুব দ্রুত ধরা পড়বে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, খুনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড গ্যাড়া নামে এক দুষ্কৃতী। কিছুদিন আগে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’টি স্কুটি কিনেছিল সে। সেগুলিই ব্যবহার হয় এই খুনে। প্রেমকে খুনের পর প্রথমে বাঁকড়ায় গিয়ে গা ঢাকা দেয় চারজন। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভাঙড়ের দিকে রওনা দিয়েছিল। তবে পথে পুলিসের নাকা চেকিং দেখে অস্ত্র ফেলে রেখে পালায়। শুক্রবার ফের বাকরায় ফিরে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল দানেশ। কিন্তু তার আগেই গ্রেপ্তার হয়ে যায়। হাওড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল। সে সরবরাহকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।