• দত্তপুকুরে গোশালার জন্য বিপর্যস্ত জনজীবন, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কয়েক বছর আগে বারাসত ১ ব্লকের দত্তপুকুরে তৈরি হয়েছিল একটি গোশালা। তার জেরে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় অভিযোগ জানিয়ে আদালত ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার এনিয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ে হিয়ারিং হয়। কিন্তু গোশালা কর্তৃপক্ষ অনুপস্থিত ছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে দ্রুত বারাসত ১ বিডিওকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী। যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জেলাশাসক।

    জানা গিয়েছে, বারাসত ১ ব্লকের অন্তর্গত দত্তপুকুর থানার কাশেমপুর এলাকায় কয়েক বছর আগে একটি গোশালা তৈরি হয়। কয়েক বিঘা জমিতে প্রচুর গোরু পালন করা হয় এখানে। অন্য রাজ্যের ব্যবসায়ীরা এখানে একটা সময় ছোট করে এই ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, ততই ব্যবসা বাড়িয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে কয়েক বিঘা জমিতে চলছে গোশালা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গোশালা থেকে নির্গত বিপুল পরিমাণ গোবর এবং অন্যান্য বর্জ্য পাশের পুকুর, ডোবা এবং জমিতে মিশে সেগুলিকে নষ্ট করেছে, ক্ষতি হয়েছে চাষেও। শুধু তাই নয়, পাশেই বেশ কয়েকটি জলাশয়ও বেআইনিভাবে গোশালা কর্তৃপক্ষ ভরাট করেছে বলে অভিযোগ। আর সেই জায়গাই তৈরি করা হয়েছে বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দা ও একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে হাইকোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার জেলাশাসক উভয়পক্ষকে নিয়ে হিয়ারিংয়ের ডাক দেন। কিন্তু গোশালা কর্তৃপক্ষ সেখানে হাজির হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ বেরা, প্রণব মাইতিরা বলেন, গোশালার ফলে এলাকার চাষের জমি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুদিন ধরে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। শুক্রবার জেলাশাসক হিয়ারিংয়ে মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিডিওর কাছে রিপোর্ট নিয়েছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতেও বলেছেন। এ বিষয়ে গোশালা কর্তৃপক্ষের প্রকাশ কেডিয়াকে ফোন করা হলে এক মহিলা ফোন ধরে বলেন উনি ব্যস্ত আছেন। ফলে গোশালা কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
  • Link to this news (বর্তমান)