• ‘বিজেপি কর্মীদের উচিত আসল  তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া’, মন্তব্য অরূপের
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে শনিবার তালডাংরা উপ নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁজ বাড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। এদিন দু’দলের তরফেই তালডাংরা বিধানসভার ‌ইন্দপুর ব্লক এলাকার দু’টি পঞ্চায়েতে চুটিয়ে প্রচার সারা হয়। নিজেদের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বিপক্ষ শিবিরকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি যুযুধান দুই দলের নেতানেত্রীরা। বিপক্ষ শিবিরকে দুর্বল করতে ভোটের মুখে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দলে টানার চেষ্টাও সমানে চলছে। ‘জালি তৃণমূলকে’ ভোট দেওয়ার থেকে বিজেপি কর্মীদের ‘আসল’ তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়া উচিত বলে সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী জানান।

    এদিন ইন্দপুরের ব্রজরাজপুরে শ্যামসুন্দরের মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু প্রচার শুরু করেন। ওই অঞ্চলের ছাতাপুর হাটতলায় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সভা হয়। পরে তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব গৌরবাজার অঞ্চলে যান। সেখানকার সাতশোগেড়িয়া এলাকায় একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। তালাডংরা ব্লকের খালগ্রাম অঞ্চলের ভালুকবাসা গ্রামের বুথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দু’টি সভায় শাসক দলের বুথ ও অঞ্চলস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিবরদা বাজারের একটি লজে শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রাইভেট টিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।  এদিনের প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা সাংসদ অরূপবাবু, তালডাংরার ব্লক সভাপতি তারাশঙ্কর রায়, ইন্দপুরের ব্লক সভাপতি রেজাউল খান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

    ফাল্গুনীবাবু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লিড থাকলেও গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে আমরা ব্রজরাজপুর অঞ্চলে পিছিয়ে ছিলাম। ফলে সেখানে যাতে এবার এগিয়ে থাকি, তারজন্য কর্মীদের কাছে আবেদন রাখা হয়েছে। 

    অরূপবাবু বলেন, প্রধানের পদে থাকতে হলে নিজের গ্রাম পঞ্চায়েতে দলকে লিড দিতে হবে। দল সবকিছুর উপর নজর রাখছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি প্রার্থী কিছুদিন আগেও তৃণমূল করতেন। তাঁর গা থেকে এখনও ‘তৃণমূলের গন্ধ’ যায়নি। টিকিট না পেয়ে তিনি নির্দল হয়ে লড়াই করেছিলেন। তাঁর স্বামী কংগ্রেসের হয়েও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁকে বিজেপি-র অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। ‘জালি তৃণমূলকে’ ভোট দেওয়ার থেকে বিজেপি কর্মীদের উচিত ‘আসল’ তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। বিজেপিতে থেকে কর্মীরা সম্মান পাবেন না। তাঁদের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা রয়েছে। ফলে তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিতে পারেন। কিছু দিতে না পারি, আমরা রাজনৈতিক সম্মান দেব। 

    এদিন বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী ইন্দপুর ব্লক এলাকায় চুটিয়ে প্রচার সারেন। তিনি ব্রজরাজপুর অঞ্চলের একাধিক গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীরা ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী বলেন, যাঁরা আমার গায়ে তৃণমূলের গন্ধ থাকার কথা বলেন, তাঁদের গা থেকে অনেক বিষাক্ত গন্ধ বের হয়। সেই সব কথা না বলাই ভালো। তাছাড়া জালি তৃণমূল বলে জেলা সভাপতি অরূপবাবু নিজের দলকেই হেয় করেছেন। তৃণমূল যে ‘জালিও’ হয় তা তিনি কার্যত স্বীকার করে নিলেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)