• অতিবর্ষণের মাঝেই গঙ্গাভাঙনের আতঙ্ক হরিপুরে, শান্তির ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ফের নদী ভাঙন। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ফের ধসে গেল পাড়ের একটি বড় অংশ। ফলে দুর্যোগ মিটলেও শান্তির ঘুম উড়েছে ভাঙন লাগোয়া একাধিক বাড়ির বাসিন্দাদের। যদিও বিষয়টি ইতিমধ্যেই সেচদপ্তরকে জানিয়েছে পঞ্চায়েত। 

    ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার টানা বৃষ্টি হয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ঝড়ের দাপট সেভাবে নদীয়ায় না থাকলেও বৃষ্টি ভালোই ভুগিয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে শহর থেকে গ্রাম, বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। রানাঘাট মহকুমার বিভিন্ন শহরাঞ্চলে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে জমে রয়েছে জল। তবে সর্বোপরি বড়সড়ো ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে নদীয়া। কিন্তু দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচলেও গঙ্গার ভাঙন থেকে যেন রেহাই নেই হরিপুরের সাধারণ মানুষের। শুক্রবার রাত থেকে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া গ্রাম সংলগ্ন গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায়। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০ মিটার বা ১০০ ফুটের কাছাকাছি গঙ্গার পাড় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে জলে। এছাড়াও ভাঙন ধরা এলাকার আশপাশের দীর্ঘ অংশের মাটি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাও ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে যেকোনও সময়। এমনিতেই এই ভাঙনের যে অংশটি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে, সেটি চৌধুরীপাড়া থেকে বাসস্ট্যান্ড যোগাযোগের অন্যতম প্রধান রাস্তা। কালীরঘাট হয়ে গঙ্গারপাড় ধরে রাস্তাটি স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গিয়েছে। ফলে সেই রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকদিন আগেও এভাবেই ভাঙন হয়েছে। এবার ফের ১০০ ফুটের কাছাকাছি গঙ্গারপাড় ধসে গিয়েছে। প্রতি বছর গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত জমি, চাষের জমি থেকে সড়ক যোগাযোগের রাস্তাগুলি। সেচদপ্তর পাড় বাঁধালে আগামী দিনে সমূহ বিপদ। কিন্তু আমরা বারবার সেই দাবি জানালেও কেউ আমাদের কথার গুরুত্ব দেন না। মাঝেমধ্যে কাজ হলেও তার স্থায়িত্ব বলে কিছু থাকে না। 

    এদিকে, ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বীরেন মাহাতো। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তিনি বিষয়টি জানান সেচদপ্তর থেকে স্থানীয় বিধায়ক প্রত্যেককেই। বীরেনবাবু বলেন, কয়েকদিন আগেও কিছুটা দূরেই ভাঙনটা হয়েছিল। এবার ফের অনেকটা অংশ ভাগীরথীর জলে তলিয়ে গিয়েছে। আমরা সেচদপ্তর সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। স্থানীয় বিধায়ককে অবগত করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। কিছুদিন আগে সেচদপ্তর কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু মাঝে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে সেই কাজ বন্ধ রাখতে হয়। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)