সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: রক্তের পাউচ মুখে নিয়ে হাসপাতাল চত্বর ঘুরছে পথকুকুর। সেই রক্তের পাউচ খুবলেও খাচ্ছে তারা। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ঘটনাটির ফলে যাঁরা রক্তদান করেন, তাঁদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। যদিও ‘বর্তমান’ ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সাফাইকর্মীকে শোকজ করেছে। সরাসরি গাফিলতির কথা মেনে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ঘটনা না হওয়াই উচিত ছিল।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাটের বীরপাড়া সার্কেলের একটি চা বাগানের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১৩ বছরের কিশোরীকে জেলা হাসপাতালে নিয়মিত রক্ত দেওয়া হয়। শুক্রবার কিশোরীকে ওই পাউচের মাধ্যমে রক্ত দেওয়া হয়। নিয়ম অনুসারে ব্যবহার করা পাউচ হলুদ রঙের প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে নির্দিষ্ট কন্টেনারে রাখতে হয় ডিসপোজালের জন্য। কিন্তু ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাফাইকর্মী ডিসপোজাল কন্টেনারে না রেখে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে তা ফেলে চলে যান। তারপরেই একটি পথকুকুর সেটি মুখে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরছে। সেই ছবি ভাইরাল হতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জেলা শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার রাতুল বিশ্বাস বলেন, এক ফোঁটা রক্ত সংগ্রহ করা যে কঠিন কাজ তা একমাত্র আমরাই জানি। রক্তের পাউচ মুখে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে পথকুকুর ঘুরছে, সমাজমাধ্যমে এই ছবি দেখে ডোনারদের মনে তো স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতেই বাধ্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এবিষয়ে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল বলেন, এই ঘটনা না হওয়াই উচিত ছিল। তবে ঘটনার পরেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই সাফাইকর্মীকে শোকজও করা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র।