সংবাদদাতা, মালদহ: কালীপুজোর আগে ধনতেরস। ব্যস্ততা তুঙ্গে মালদহের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করল পুলিস। গত দেড় বছরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সোনার দোকানে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। লুঠ করেছে গয়না এবং নগদ। ডাকাতদের রুখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও।
অতিরিক্ত সুপার পদমর্যাদার এক আধিকারিক বলেন, ইতিমধ্যেই সোনার দোকানগুলির চারপাশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। সাদা পোশাকেও নজরদারি চলছে নিরন্তর। সোনা, চাঁদি ক্রেতা, বিক্রেতাদের সুরক্ষার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি।
ধনতেরসে সোনা, রুপোর বিক্রি একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়। বাঙালি সংস্কৃতিতেও এখন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে চতুর্দশীতে ধাতু কেনার এই রীতি। অনেকেই বছরের সঞ্চয় ব্যয় করে এই তিথিতে সাধ্য অনুযায়ী সোনা, রুপো কিনে থাকেন। এমনকি বিক্রি হয় সোনা বা চাঁদির কয়েনও।
বঙ্গীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির জেলা কর্মকর্তা উজ্জ্বল সরকার বলেন, এখন আমাদের চরম ব্যস্ততা। ধনতেরসে ছোটবড় সব অলঙ্কারের দোকানেই প্রতি বছর ভালো সোনা, চাঁদি বিক্রি হয়। এবছর বিক্রি আরও বাড়বে বলে অনুমান আমাদের। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। এর আগে সোনার দোকানগুলিতে কয়েকবার হামলা হয়েছে। তাই আমরা পুলিসের অতিরিক্ত নজরদারি চাইছি। শুধু দোকানে নয়, দামি ধাতু কিনে ক্রেতারাও যেন সুরক্ষিতভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিস পরীক্ষামূলক অ্যালার্ম চালু করেছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছি।