সংবাদদাতা, কালিয়াচক: বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ধুরিটোলা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। তারমধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে দুর্গামন্দির কমিটির সম্পাদক ও সভাপতিকে রেজোলিউশন করে পদ থেকে সরিয়ে দেন মন্দির কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। সম্পাদক ও সভাপতির বিরুদ্ধে মন্দির কমিটির টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ছিল। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্গা মন্দিরের গেটের চাবি দিতে অস্বীকার করে প্রাক্তন সম্পাদক নিখিল মণ্ডল। এমনকী মন্দিরের আয়-ব্যয়ের হিসেবও দেয়নি। এনিয়ে আগেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল দু’পক্ষ।
শনিবার মন্দির কমিটির সদস্য প্রহ্লাদ মণ্ডল মাঠে কাজ করতে যায়। সেখানে নিখিল মণ্ডলের জামাই প্রতাপ মণ্ডলের সঙ্গে প্রহ্লাদের বচসা হয়।
প্রহ্লাদ সেখান থেকে এসে বিষয়টি গ্রামের কয়েকজনকে জানান। তাঁরা দুর্গা মন্দিরের কাছে এ বিষয়ে আলোচনায় বসে। অভিযোগ, সেসময় নিখিল ও প্রতাপ তার দলবল নিয়ে এসে প্রহ্লাদকে আক্রমণ করে। তাদের হাতে ছিল হাঁসুয়া, লাঠি এবং পাথর। প্রহ্লাদের সঙ্গে থাকা বাকিদেরও লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের ধাওয়া করে কোপানো হয়। স্থানীয়রা জানান, ঘটনায় সাতজন জখম হয়েছেন। তারমধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিখিল। তার দাবি, প্রহ্লাদরাই প্রথম আমাদের আক্রমণ করে। আমরা পালিয়ে কোনওরকম প্রাণে বাঁচি।
আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বিষয়টি পুলিসকে জানিয়েছি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ধুরিটোলায় যায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, আগে থেকে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল ছিল। শনিবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র