• বিজয়া সম্মিলনিতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব প্রাক্তন জেলা সভাপতি
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা বিজয়া সম্মিলনি ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের নিউমার্কেট এলাকায় অনুষ্ঠানে ডাক না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার। কর্মসূচিতে দেখা যায়নি গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর, গঙ্গারামপুর, বাসুরিয়া, শুকদেবপুর অঞ্চলের নেতৃত্বকে। মৃণাল সরকারের মন্তব্য, ব্লকের কর্মসূচি হয়েছে শহরে। কিন্তু শহরে আলাদা কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে।  গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন, এমন অনেককে ডাকা হয়নি। ব্লকের সংগঠনে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করলেন ব্লক সভাপতি।  

    কুমারগঞ্জ বিধানসভার মধ্যে রয়েছে গঙ্গারামপুর ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত। অথচ, কুমারগঞ্জের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তোরাফ হোসেন মণ্ডলকেও ডাকা হয়নি। যদিও জেলা ও ব্লকের গ্রুপে রাজ্যের কর্মসূচি প্রসঙ্গে সকলকে জানানোর পরেও নেতৃত্ব আসেনি বলে তোপ দাগেন গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর সরকার।

    তোরাফের কথায়, দলকে কীভাবে ঐকবদ্ধ করতে হয়, কুমারগঞ্জের বিজয়া সম্মিলনি থেকে দেখিয়ে দিয়েছি। জেলার সব নেতৃত্ব ছিল। আমাকে গঙ্গারামপুর ও হরিরামপুরের বিজয়া সম্মিলনিতে ডাকেনি। এরা বরাবরই বিভাজনের রাজনীতি চাইছে। 

    ব্লক ও শহরে বিজয়া সম্মিলনির মাধ্যমে কর্মীদের চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। তারপরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না জেলা তৃণমূলের। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শক্তিশালী সংগঠন থাকার পরেও আমরা-ওরা করতে গিয়ে হাতছাড়া হয়েছে লোকসভা আসন। তারপরেও জেলা নেতৃত্ব কিছুতেই এক ছাতার তলায় আসতে পারছে না। গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর সরকার টানাপোড়েন প্রসঙ্গে বলেন, জেলা ও ব্লকের গ্রুপে বিজয়া সম্মিলনির কর্মসূচি দিয়ে দিয়েছি। তারপরেও নেতৃত্ব রাজ্যের কর্মসূচিতে না এসে পিছন থেকে কথা বলছে। এরাই দলকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই জানানো হয়নি। সবাই গ্ৰুপের মেসেজ দেখে কর্মসূচিতে এসেছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)