সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: জলে ভিজে ড্যাম্প হওয়ার ভয় নেই। কারণ আগুনে নয়, এই বাজি ফাটানোর জন্য চাই জল। জলে পড়লেই ফাটবে এই বাজি। এবারের শিলিগুড়ির বাজি বাজারে আলাদাভাবে নজর কাড়তে এসেছে এই পমপম বাজি।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই। তাই বাজির বিবর্তনেও প্রতি বছর নিত্যনতুন বাজির দেখা মেলে। এবারও শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বাজি বাজারে হরেকরকমের নতুন বাজি এসেছে। ছোটদের আকৃষ্ট করার জন্য নানা নামে নানা মডেলে বাজির এই বিবর্তন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
পমপম বাজির মতো বাচ্চাদের আকৃষ্ট করার জন্য রয়েছে ড্রোন, হেলিকপ্টার, রাইডার সহ কিছু নতুন বাজি। গতবছর শিলিগুড়ির বাজি বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল চন্দ্রযান ও ড্রোন। এবারও ড্রোন বাজি এসেছে নতুন নতুন ডিজাইনে। এবার শিলিগুড়ি বাজি বাজারে এই পমপম বাজি আলাদা করে নজর কাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ঝন্টু সরকার। এক প্যাকেটে ৩০টি পমপম বাজি রয়েছে। দাম ৩০০ টাকা।
নতুন মডেলের বাজির মধ্যে রয়েছে সাইক্লোন, হেলিকপ্টার ও ফান রাইড। এক প্যাকেটে পাঁচটি করে করে সাইক্লোন বাজি রয়েছে। দাম ৩৫০ টাকা। একটি হেলিকপ্টার বাজির দাম ২৫০ টাকা। বাজি বিক্রেতা ভবেশ দাস বলেন, সাইক্লোন বাজির সলতেতে আগুন দিলে সাইক্লোনের মতো চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে উপরে উঠে গিয়ে ফাটবে। হেলিকপ্টার বাজি হেলকপ্টারেরই একটি মডেল। আগুন দিলে মাটি থেকে কিছুটা উপরে উঠে আবার নেমে আসবে। নতুন ধরনের এই দুটি বাজি সাড়া ফেলবে বলে আমরা আশা করছি।
ছোটদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এবার আরও একটি নতুন বাজি, রাইডার। বাজিটি বাচ্চাদের একটি খেলনা গাড়ি। বাজি বিক্রেতা সুমিত সরাফ বলেন, সলতেতে আগুন ধরিয়ে দিলে গাড়িটি থেকে তুবরির মতো ফুলকি ছড়াতে ছড়াতে কিছুদূর এগিয়ে যাবে। তিন পিসের এক বাক্স এই রাইডার বাজির দাম ৬০০ টাকা। ছোটদের নজর কেতে রয়েছে লায়ন বাজি। একটি সিংহের মডেলে বাক্স। তার মধ্যে তুবড়ি রয়েছে। আগুন দিলে ওই বাক্স থেকে পর পর কয়েকটি তুবড়ি ফুলকি ছড়াতে ছড়াতে বেরিয়ে আসবে।
দু›দিন হল কাওয়াখালিতে শিলিগুড়ি বাজি বাজার শুরু হয়েছে। তবে এখন ভিড় পাহাড়, ডুয়ার্স ও শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকার বাজি ব্যবসায়ীদের। হোলসেলে তারা বাজি কিনতে আসছেন। কালীপুজো দু’দিন আগে থেকে বাজির বাজার জমে উঠবে বলে আশা করছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।