• দুবাই ডাউনটাউন এবার বারাসতে, কালীপুজোর থিমে সাপ-লুডোর ওঠানামা
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ একটু সমস্যা করতে পারে। তবে তাকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে বারাসতের পুজো কমিটিগুলি। এবছর কালীপুজোয় নজরকাড়া পুজো মণ্ডপ তৈরি করছে বারাসত দমকল কেন্দ্র লাগোয়া তরুছায়া ক্লাব। এবার তাদের থিম ‘আলোর দিশারী’। সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে বাড়ছে দারিদ্র ও মানসিক অশান্তি। এই অস্থিরতার মধ্যেও মানবিকতা, সহানুভূতি রয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই সঙ্গে অনেকের মধ্যেই চেতনারও বিকাশ হচ্ছে। সেই দিকটাই এবার তুলে ধরা হচ্ছে তাদের পুজো মণ্ডপে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে মাতৃপ্রতিমা। সঙ্গে থাকছে চোখধাঁধানো আলোকসজ্জাও। সেই আলোকসজ্জার মাধ্যমে দেখা যাবে অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণের পথ। উদ্যোক্তা শুভ দাস, রূপায়ণ ভট্টাচার্যরা বলেন, মানুষের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে এই ভাবনা। মণ্ডপের ভিতরে ও বাইরে থাকবে মানুষকে লড়াই করার শক্তি জোগানোর বিভিন্ন বিষয়। আমাদের মণ্ডপে এলে অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাওয়ার দিশা পাবে মানুষ। নিখুঁত কারুকার্যের মাধ্যমে পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। জাতীয় সড়কের পাশে তাদের পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীরা যাতে ভালোভাবে দর্শন করতে পারেন, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিচ্ছে তরুছায়া ক্লাব। 

    এদিকে, বারাসত টাকি রোডে একটি বড় পুজো হল বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপুজো। ৫৮ বছরে উদ্যোক্তাদের ভাবনা দুবাইয়ের ডাউনটাউন। এটা বিশ্বের বিলাসবহুল রেস্তরাঁর অন্যতম। দুবাইয়ের ১২০ তলার হোটেল ডাউনটাউন মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন। এক উদ্যোক্তা মানিক দত্ত বলেন, দুবাইয়ের বিলাসবহুল হোটেল ডাউনটাউনের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। আর মাতৃপ্রতিমায় থাকছে সাবেকিয়ানা। সঙ্গে থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। 

    ‘লক্ষ্যহীন ব্যক্তি রাডার ছাড়া জাহাজের মতো’। স্কটিশ দার্শনিক টমাস কার্লাইলের এই কথাকে সামনে রেখে এবার বারাসত পাইওনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবের থিম ‘লক্ষ্য’। এই পুজো এবার ৫২ বছরে পা দিল। প্রতিটি মানুষের জীবনেই থাকে লক্ষ্য। পড়াশোনা থেকে খেলাধুলা, রাজনীতি থেকে সমাজসেবা–সব ক্ষেত্রে সকলেই চান সবার আগে থাকতে। উপরে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই লড়াই করছে প্রতিটি মানুষ। এই চিন্তা থেকেই উদ্যোক্তাদের থিম ‘লক্ষ্য’। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে সাপলুডো। পাশাপাশি থাকছে সাপ আর মই। সাপের মুখে পড়লেই নীচে। আর মই বেয়ে ওঠা যায় উপরে। উপরে ওঠার বিভিন্ন ‘টার্গেট’ বা ‘লক্ষ্য’ দেখা যাবে মণ্ডপে। উদ্যোক্তা বিনোদ খান্না বলেন, আমাদের মাতৃপ্রতিমাও হবে নজরকাড়া। সঙ্গে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। টাকি রোড বালকবৃন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দেখতেও ভিড় জমান বহু মানুষ। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও জোরকদমে চলছে তাদের মণ্ডপ তৈরির কাজ।
  • Link to this news (বর্তমান)