ভাইফোঁটায় মিষ্টি ও খাবারের বিশেষ মেনু নিয়ে হাজির উলুবেড়িয়ার বহু নামী রেস্তরাঁ
বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ভাইফোঁটা বাঙালির কাছে একটি উৎসব। ভাই-বোন সহ গোটা পরিবার আনন্দে গা ভাসায়। বছরের এই বিশেষ দিনে ভাই ও দাদার কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন বোন ও দিদি। পচ্ছন্দসই মিষ্টি ও খাবারদাবার প্লেট ভরে তুলে দেন ভাইয়ের পাতে। বোনেদের সেই পছন্দ জেনে নিয়ে খাবার তৈরি করছে উলুবেড়িয়ার নামী রেস্তরাঁগুলিও। দুর্গাপুজোতেও বিভিন্ন মুখোরোচক খাবার বানিয়েছিল তারা। এবার ভাইফোঁটাতেও বিশেষ থালি বানাচ্ছে। তাতে থাকছে ঝিরিঝিরি করে কাটা আলু ভাজা, নবরত্ন কারি, ফুলকপি চিংড়ি, পটলের দোরমা, কাতলা মাছের কালিয়া, ভেটকির পাতুরি, পোলাও, খাসির মাংস, দই থেকে মিষ্টি ও বেনারসি পান। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দাম থালির। তাতে রয়েছে আরও একাধিক পদ। রেস্তরাঁয় বসে খাওয়ার পাশাপাশি হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও রাখছে। উলুবেড়িয়া শহরের একটি নামী রেস্তরাঁর কর্ণধার গৌতম বোস জানান, গত কয়েক বছর কলকাতার পাশাপাশি উলুবেড়িয়াতেও বিশেষ দিনগুলিতে রেস্তরাঁর খাবারের উপর ঝোঁক বাড়ছে মানুষের। সে কারণে আমরাও মানুষের পছন্দের মেনু হাজির করছি। ভাইফোঁটায়ও বিশেষ মেনু। ইতিমধ্যে বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বছরগুলির মত এবারও ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে শহরের আরও একটি নামী রেস্তরাঁর কর্ণধার দীপক দাস জানান, পুজোর পাশাপাশি ভাইফোঁটাতেও অনেকে খাবার অর্ডার দিয়েছেন। টেবিলও বুক করে রেখেছেন অনেকে। দুর্গাপুজোয় ভালো ব্যবসা হয়েছে। আশা করছি ভাইফোঁটাতেও ভালো ব্যবসা হবে। ভাইফোঁটায় রেস্তরাঁগুলি খাবারের এই ব্যবস্থা করায় খুশি অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, উৎসবের দিন ঘুম থেকে উঠে বাজার করা, মাংস ও মিষ্টির দোকানে লাইন দেওয়ার ঝক্কি আছে। এই ঝক্কি এড়িয়ে নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে বাড়িতে বসে পছন্দের থালি পেতে কে না চায়।