• চেনা ছন্দে ফিরল সাগর, ভিড় কপিলমুনির আশ্রমে
    বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: শনিবার সকাল ৯টা বেজে ২৫ মিনিট। আড়াই দিন পর যাত্রী নিয়ে সাগর থেকে প্রথম ভেসেল ঢুকল কাকদ্বীপ লট এইটে। এপারে তখন বহু তীর্থযাত্রী ও সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছেন। জেটিঘাটে ভেসেল ঢোকা মাত্র কাতারে কাতারে মানুষ নেমে দৌড় দিলেন টোটো ধরতে। আর এপারে থাকা পুণ্যার্থীরা ‘জয় গঙ্গা মাঈকি’ বলে যাত্রা শুরু করলেন। কাকদ্বীপের রাস্তাঘাটও এদিন সকাল থেকে স্বাভাবিক। বাজারে গমগম করছে ভিড়।  সচল রয়েছে বাস ও অন্যান্য পরিবহণ। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাব কেটে যেতেই দ্রুত ছন্দে ফিরতে শুরু করল কাকদ্বীপ, সাগর সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল। 

    দুর্যোগের সময় গঙ্গাসাগারের কপিলমুনি মন্দির খোলা থাকলেও ভক্তরা আসতেই পারেননি। শনিবার ফেরি চালু হওয়ার পর মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমতে শুরু করে। গত কয়েকদিন আকাশ যেভাবে মেঘাচ্ছন্ন ছিল, তা কেটে গিয়ে এদিন সকাল থেকে ঝলমলে রোদ্দুরের দেখা মেলে। ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক কাটিয়ে মানুষজন কাজে বেরিয়ে পড়ে। ঝড়ে ও বৃষ্টির স্পষ্ট পূর্বাভাস থাকায় বন্ধ ছিল কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ। কাকদ্বীপ শহরে এমন অনেক জায়গায় এদিন সকাল থেকেই বাঁশ, কাপড় লাগিয়ে মণ্ডপের কাজ দ্রুত শেষ করার তোড়জোড় চোখে পড়েছে। মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা শুকনোর কাজ এগিয়ে নেন। 

    এদিন সকালে আবহাওয়ার উন্নতি হতেই লট এইটে ভেসেল ধরার জন্য ভিড় বাড়তে শুরু করে। রাজস্থান থেকে একদল পুণ্যার্থী কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। তাঁরা বলেন, ‘দু’দিন আটকে ছিলাম অন্য জায়গায়। আজ সকালে এসেছি। এবার পুজো না দিয়ে ফিরব না।’ বছর পঁচিশের এক যুবক দিল্লি থেকে এসেছেন। সাগরে তাঁর মামার বাড়িতে যাবেন বলে শুক্রবার বিকেলেই তিনি কাকদ্বীপ এসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় যেতে পারেননি। এদিন ভেসেলে উঠে তিনি জানান, ‘যাই হোক, অবশেষে স্বস্তি পেলাম।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)